টেকনাফে যুবক নিহত

শামসু উদ্দীন, টেকনাফ প্রতিনিধি ::।
কক্সবাজারের টেকনাফে এক মাদক মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের গোলাগুলিতে খোরশেদ আলম (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি এই ঘটনায় তাদের ৩ সদস্যও আহত হয়েছেন। তবে নিহতের পরিবারের দাবি পুলিশের গুলিতে খোরশেদ নিহত হয়েছে।
এদিকে পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় শামশুল আলম ওরফে কালা শামসু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।  তার বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলার রয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত তিনপুলিশ  হলেন এএসআই রতন (৩১), কনেস্টবল শরিফুল (৪৬) ও বলরাম (২৫)।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ সদরের হাবিরছড়া এলাকার মাদক মামলাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি শামসুল আলমকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে থানায় নিয়ে আসার পথে হাবিরছাড়া এলাকায় পৌঁছলে তার লোকজন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে শামসুকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় গোলাগুলিতে আহত হন তিন পুলিশ সদস্য।
তিনি জানান, দুইপক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় মানিলন্ডারিং ও মাদক মামলার পলাতক আসামি খোরশেদ আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তবে সে কার গুলিতে মারা গেছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আটক শামসুল আলম একজন র্শীষ মাদক ব্যবসায়ী। তার দুইভাইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাকারিয়া মাহমুদ বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার বুকের বাম পাশে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে তার মৃত্যু হয়। আহত তিন পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ হাসপাতালে যান কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ও উখিয়া সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ।
ওসি হাফিজুর রহমান জানান, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
এদিকে নিহত পরিবারের দাবি শামসুল আলম পুলিশের হাতে আটকের খবর শুনে ব্যাডমিন্টন খেলা শেষে ঘটনাস্থলে ভাইকে দেখতে ছুঁটে যান খোরশেদ আলম। এ সময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় সে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক  মৃত ঘোষণা করেন।