ইউএনও’র রুহুল আমিনের মহানুভবতায় সোহাগী পেল নতুন ঘর

“আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।”

কবি জসিম উদ্দিনের সেই আসমানীর কথা নিশ্চয় পাঠকের মনে পড়েছে। তবে আজ আসমানী নয়, রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার সোহাগীর গল্প নিয়ে এ প্রতিবেদন। আসমানী সাথে এ সোহগীর জীবনের ঘটনা অনেকটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

বিভিন্ন বাসায় গৃহস্থালির কাজ করেন সোহাগি। কাপ্তাই উপজেলার ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের কয়লার ডিপু এলাকায় তাদের বসবাস। জরাজীর্ণ ঘর, বৃষ্টি আসলে আশ্রয় নিতে হয় অন্যের ঘরে। সোহাগির পিতা ষাটোর্ধ দেলোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে হাঁফানি রোগে আক্রান্ত। ৪ ছেলেমেয়ের সংসারে অভাব অনটন সবসময় লেগে আছে।