একাত্তরে পাকিস্তানি গণহত্যার প্রধান ইন্ধনদাতা ছিল আমেরিকা: নাছির

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কোনো কোনো দেশ বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মাতামাতি করছে। ঐ দেশগুলোর  গুটিকয়েক অখ্যাত ও বেনামী মানবাধিকার সংগঠন উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যাচার করেছে।

পৃথিবীতে এপর্যন্ত যতগুলো বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে তার পেছনে আমেরিকাসহ উন্নত দেশের হাত রয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নজিরবিহীন গণহত্যার প্রধান ইন্ধনদাতা ছিল আমেরিকা।

 

 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডের বর্ধিত সভায় তিনি এসব একথা বলেন।

তিনি বলেন, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর গণহত্যায় আমেরিকা ইসরাইল বাহিনীকে গণহত্যায় প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছে। এমনকি জাতিসংঘের পূর্নাঙ্গ সদস্য হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অন্তর্ভূক্তি প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আমেরিকা ভেটো প্রয়োগ করেছে। তাহলে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনে মার্কিনি ও মিত্রদেশগুলোর কল্পিত অভিযোগ মিথ্যাই শুধু নয় বঙ্গপোসাগর ও ভারত মহাসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে ভূরাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের চক্রান্ত মাত্র। এই চক্রান্তকে অবশ্যই রুখে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে। কারণ আমরা ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে একটি বিজয়ী শক্তি।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলেও দেশে গণতন্ত্র, উন্নয়ন এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনমুখী দলতো নয়; তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল এবং একই পথে আবারো আসতে চায়। এখন তাদের অপকর্মের জন্য তাদেরকেই চরম মূল্য দিতে হচ্ছে।

২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও প্যানেল মেয়র আব্দুস সবুর লিটনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক এস.এম এরশাদ উল্লাহর সঞ্চালনায় এ সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সাংসদ নোমান আল মাহমুদ, সাবেক যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, যুগ্ম আহ্বায়ক দিলদার খান দিলু, ইউনিট আওয়ামী লীগের জাফর আহমেদ চৌধুরী, আসলাম হোসেন, মহিলা আওয়ামী লীগের জেনিফার আলম, মো. ইকবাল হোসেন, মো. মাসুদ রায়হান, সাইফুর রহমান পলাশ, ছাত্রলীগের জাবেদ, রাইসুল ও ইমরান হোসেন বাবু প্রমুখ।