কক্সবাজার মহাসড়কের খোদাইবাড়িতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৫

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫ জন হয়েছেন। এদের মাঝে ঘটনাস্থলে দুজন আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও তিনজন। এ ঘটনায় আহত আছেন ১৩ জন, তাদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ জন।

আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও উপজেলার খোদাইবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা এলাকার মৃত মফিজুর রহমান ছেলে আবু আহমেদ, একই এলাকার মৃত মাহবুবুল আলম এর স্ত্রী মাহমুদা বেগম, আব্দুল কুদ্দুস এর স্ত্রী সায়রা খাতুন, গোলাম সোবহান এর ছেলে দুলা মিয়া, এবং একজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতাল থেকে বাঁশখালী উপজেলার ২৬ জন রোগী চোখের চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তারা দুটি মাইক্রোবাস নিয়ে কক্সবাজার থেকে বাঁশখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যান। পথিমধ্যে ঈদগাঁও এলাকায় একটি গাড়ি দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছেন। এতে মারা যান ৫ জন এবং বেশ কয়েকজন আশংকাজনকভাবে আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চকরিয়া মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বরত ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওর খোদাইবাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। তারা মরদেহ উদ্ধার ও দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো জব্দ করে মালুমঘাট হাইওয়ে থানায় নিয়ে এসেছেন।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ঈদগাঁওতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কয়েকজন নারী-পুরুষকে বেলা একটার পর হতে পৃথক সময়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। এদের মাঝে এক নারী ও এক পুরুষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। হাসপাতালে আনার আগে মারা যান আরও একজন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কাজ করেন। ঘটনাস্থলে দু’জন মারা যান। আরও কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জেনেছি। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।