বিচ্ছেদের পথে রাজ-পরী

আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি ও চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের দাম্পত্য জীবন নিয়ে গুঞ্জন চলছেই। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে এই জুটির বিয়ের পর ফুটফুটে পুত্রসন্তান রাজ্য আসে তাদের পরিবারে। তবে পরী-রাজের বিয়ের দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বিভিন্ন সময় তাদের বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়েছে। এবার সত্যি সত্যিই বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন তারা। সাম্প্রতিক সময়ে রাজ, তানজিন তিশা ও সুনেরাহ’র ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর ফের গুঞ্জন উঠেছে দু’জনের দাম্পত্য জীবন নিয়ে। পরী-রাজের দাম্পত্য জীবন যে ভালো নেই, তা তাদের বক্তব্যেও উঠে আসছে। এর আগেই পরীমনি জানিয়েছেন, তার স্বামী রাজ ১০ দিনের বেশি সময় ধরে বাসাতেই নেই। কোনো ধরনের যোগাযোগই নেই তাদের মধ্যে। ভিডিও ফাঁস হওয়ার ক’দিন আগেও যখন পরীমনি জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তখনো তার আশেপাশে দেখা যায়নি রাজকে। এদিকে রাজ জানান, তাদের সম্পর্ক কোন পর্যায়ে বা টিকবে কিনা, তা বলতে পারবেন চয়নিকা চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দিন সেলিম।

সাংবাদিকদের তাদের সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন রাজ। পরীর সঙ্গে থাকা না থাকার ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাইলে রাজ জানান, তার সিদ্ধান্তের চেয়ে পরীর সিদ্ধান্ত জানাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরীমনি কী চায়, সেটা জানা দরকার। পরী যেটা চাইবে, সেটাই চূড়ান্ত। থাকতে চাইলে থাকবে, না চাইলে বিচ্ছেদ।
সাক্ষাৎকারে রাজ যে সংসারে ভালো নেই তেমনটাও তার বক্তব্যে উঠে আসে। এদিকে রাজের এমন বক্তব্যের পর পরীমনি বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কিছু আপত্তিকর ভাষা সংযোজন করে রাজের সেই সাক্ষাৎকার পোস্ট করেন নিজের ফেসবুক ওয়ালে। যদিও কয়েক ঘণ্টা পরই সেই পোস্ট ডিলিট করেছেন তিনি। এদিকে গতকাল পরীমনি বিচ্ছেদ নিয়ে মানবজমিনকে বলেন, রাজ তো আমাকে ছেড়ে চলেই গেছে। বিচ্ছেদ তো এখানেই হলে গেল। আমিও চাই না সে জোর করে ফিরে আসুক। জোর করে সংসার হয় না। ফিরে এলেও তাকে মাফ করা যাবে না। বরঞ্চ আমি চাই সে আমাকে তালাক দিক। তবে অবশ্যই আমার ছেলের বাবা হিসেবে সে রাজ্যকে দেখতে আসতে পারবে। তবে তাকে সময় মেনটেইন করতে হবে। অসময়ে আসা যাবে না। আমি মনে করি, সে নিজেও সংসার করতে চায় না। সুতরাং, আমিও বিষয়টি দীর্ঘায়িত করতে চাই না। প্রসঙ্গত, গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘গুনিন’ ওয়েবফিল্মে অভিনয় করার সময় সম্পর্কে জড়ান পরীমনি ও শরিফুল রাজ। এরপর দু’জনার ভালোলাগা, ভালোবাসা। অবশেষে ২০২১ সালের ১৭ই অক্টোবর বিয়ে করেন তারা।