৩ মাসের ভাড়া মওকুফ করার জন্য সরকারকে বাড়ীওয়ালাদের চাপ দিতে হবে

প্রবীণ সাংবাদিক কামরুল হুদা বলেছেন, করোনাকালে মানুষ ৩ মাস ঘরে বন্দি থাকায় আয়রোজগার না থাকায় প্রায় মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এই সময়ে ৩ মাসের ভাড়া মওকুফ করার জন্য সরকারকে বাড়ীওয়ালাদের চাপ দিতে হবে। অন্যদিকে গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল ও হোল্ডিং ট্যাক্স সরকারকে মওকূপ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। ভাড়াটিয়া স্বাথর্রক্ষা ও অধিকার আদায়ে আজ ১৬ জুলাই বিকাল ৪ টায় ৩০২ লুসাই ভবনের (৩য় তলা) ভাড়াটিয়া অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাড়ির মালিকেরা সংঘবদ্ধ, তাদের বাড়ি নির্মাণে অধিক ব্যয়ের কথা তুলে ধরছে গণমাধ্যমে, আদালতে এবং সুধীমহলে। কিন্তু ভাড়াটিয়ারা লজ্জায় মুখ খুলছে না, নিষ্ফল অভিযোগ করছে এখানে-সেখানে; কোন কর্তৃপক্ষ এর প্রতিকার দেবে, জানা নেই অনেকের। সাংবাদিক মো. সাইফুর রহমান সাইফুল বলেন, শহরের চতুর্দিকে খাস জমির উপর ফ্ল্যাট নির্মাণ করে মাসিক ভাড়ার মাধ্যমে মালিকানার শর্তে ভাড়াটেদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া এবং ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ভাড়ার টাকা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হউক। শহরমুখী অভিবাসন বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাড়িভাড়া এবং বাড়িওয়ালাদের খেয়ালখুশি মাফিক ভাড়া বৃদ্ধির প্রবণতা। সাধারণ কর্মজীবী মানুষের উপার্জনের অর্ধেক চলে যাচ্ছে বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে। মাস্টার এস এম কামরুল ইসলাম বলেন, স্বল্প ও মধ্য আয়ের লোকজনদের যাদের নিজস্ব নিবাস নেই, তাদের জীবনযাত্রা দুঃষহ হয়ে উঠেছে। শহরে থাকা হয়ে উঠেছে নিতান্তই কঠিন, অথচ থাকতে হবে। স্বল্প আয়ের জনগণ অত্যন্ত বিব্রত ও বেসামাল হয়ে পড়েছে। অনেকে ভাবছে পরিবার গ্রামে পাঠিয়ে দিয়ে কোথাও গিয়ে কোনোভাবে থাকবে। সাংবাদিক মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাড়িভাড়া নৈরাজ্য রোধে সিটি কর্পোরেশনের কোনো উদ্যোগ নেই। সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুর্বলের পক্ষে নীতিনির্ধারকরা কথা বলতে চান না। শহরে যারা ভাড়াটিয়া আছে তাদের পক্ষ নিয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। সিটি কর্পোরেশন হোল্ডিং ট্যাক্সের আশায় কখনো ভাড়াটিয়াদের পক্ষে ন্যায় পদক্ষেপ নেয়নি। ভাড়াটিয়াদের প্রতিবাদের কোন প্ল্যাটফর্ম না থাকায় বাড়িওয়ালারা লাগামহীনভাবে ভাড়া বৃদ্ধি করে। তাদের যেকোনো সিদ্ধান্ত অসহায়ের মতো মেনে নিতে হয়। এতে চাকরির সিংহভাগের বেতন চলে যায় বাড়িওয়ালার পকেটে। বক্তব্য রাখেন মো. সোহেল, মো. ইউসুফ প্রমুখ।