ধর্ষকদের গ্রেফতারে নাহিদের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘শহীদ পরিবারের সদস্য হিসেবে নয় বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবেই ধর্ষনের বিচার চাই। প্রতিটি ধর্ষনের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করার পাশপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ঘটনার বিচার করতে হবে। এই নৃশংস ঘটনার দ্রুত বিচার হওয়া দরকার। আমরা ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে আছি এবং প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি নিশ্চিত করতে হবে। পাশপাশি ধর্ষনের সবোর্চ্চ স্বাস্থি নিশ্চিত করতে সরকার আইন পরিবর্তনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়নেরও দাবী জানাচ্ছি। ইতিমধ্যে একজন আসামী গ্রেফতার হয়েছে আমরা চাই আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপর আসামীও গ্রেফদার করবে আইন শৃঙ্কলা বাহিনী।’

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়ায় শহীদ জসিম উদ্দিন এর ১৭ বছরের কিশোরী কন্যা ধর্ষণের শিকার হওয়াও ঘটনায় বৃহস্পতিবারে নির্যাতিত কলেজছাত্রী ও তাঁর পরিবারের খোঁজখবর নিতে আসেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। দুপুর দুই টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে ভুক্তভোগী তরুণীর সাথে দেখা করেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। পরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নাহিদ ইসলাম।

পটুয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার হওয়া কলেজছাত্রী ও তাঁর পরিবারের খোঁজখবর নিতে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ ভুক্তভোগী তরুণী বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নাহিদ ইসলাম হাসপাতালে হাসপাতালের উপপরিচালক দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডাঃ তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্যসচিব মুজাহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব জাহিদ আহসান প্রমুখ।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বুধবার নির্যাতিত ওই কিশোরী বাদী হয়ে দুমকি থানায় দুই জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাকিব মুন্সি (১৯) কে আটক করেছে দুমকি থানা পুলিশ।

পরিবারের ভাষ্যমতে, ভুক্তভোগীর বাবা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হন এবং ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে মারা যান। তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়ি দুমকিতে দাফন করা হয়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়ে বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়ি ফেরার পথে আলগী গ্রামের মুন্সিবাড়ির কাছে পৌঁছালে মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সি ও তার এক সহযোগী তাঁকে জোর করে নির্জন বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁরা ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে।

এ ঘটনার পর ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি পরে এক সহপাঠীকে ঘটনা জানালে তার মাধ্যমেই পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সাকিব মুন্সিকে গ্রেপ্তার করে এবং ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।