চন্দনাইশে শেরে মিল্লাতের স্মরণ সভা

সত্য ও ন্যায়ের মূর্তপ্রতীক ছিলেন আল্লামা নঈমী-মোছাহেব উদ্দীন বখতিয়ার
আল্লামা নঈমীসহ সুন্নী আলেমগণ স্বাধীনতা স্বপক্ষে ছিল-আবু আহমেদ চৌধুরী

চন্দনাইশ শেরে মিল্লাত আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী (রহ:) স্মরণ সভা উদযাপন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় সদ্য প্রয়াত শায়খুল হাদীস, মুফতিয়ে আজম, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শেরে মিল্লাত আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী (রহ:)’র স্মরণ সভা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক, রাজনীতিবীদ আলহাজ্ব আবু আহমেদ চৌধুরী জুনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অথিতি ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের মূখপাত্র এডভোকেট মোছাহেব উদ্দীন বখতিয়ার। প্রধান অথিতির বক্তব্যে মোছাহেব উদ্দীন বখতিয়ার বলেন, বর্তমানে সারাবিশ্বের অধিকাংশ মানুষ লোভ-লালসায় মত্ত হয়ে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, দলাদলিতে মত্ত। আবার কেউ কেউ ধর্মকে কেন্দ্র করে উগ্রবাদে লিপ্ত হচ্ছে। অন্যদিকে, যারা লোভ-লালসার উর্ধ্বে উঠে দেশ-জাতির ভবিষ্যত চিন্তা করেন, মানুষের কথা ভাবেন, অন্যকে জ্ঞানের আলোয় প্রজ্জ্বলিত করেন, সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে মত্ত হন এবং সত্য-ন্যায়ের পথে অবিচল থাকেন, তারা মৃত্যুর পর অমর হয়ে থাকেন। আহলে সুন্নাত চেয়ারম্যান শেরে মিল্লাত আল্লামা নঈমী (রহ.) তেমন একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন। যিনি দুনিয়া থেকে মৃত্যু বরণ করলেও যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন মানুষের অন্তরে। তিনি কখনও অন্যায়ের সাথে আপোষ করেন নাই, সারা জীবন ইসলামের সূফিবাদি অহিংস উদার মতাদর্শের প্রচার করেছেন, ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে নিরন্তর ভূমিকা রেখেছেন। এককথায়, সত্য ও ন্যায়ের মূর্তপ্রতীক ছিলেন আল্লামা নঈমী (রহ.)। মুহাম্মদ শহিদুল আলম ও মুহাম্মদ সোহেল রানার যৌথ পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুহাম্মদ বেলাল হোসেন মিন্টু। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, অধ্যক্ষ মুফতি আহমদ হোছাইন আলকাদেরী। মূখ্য আলোচক ছিলেন অধ্যক্ষ মুফতি হারুন উর রশিদ আশরাফী। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন, প্রবীন আলেমেদ্বীন অধ্যক্ষ শাহ খলিলুর রহমান নিজামী, সাংবাদিক ও সংগঠক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবু তালেব বেলাল, মুহাম্মদ আবদুর রহিম, ভাইস-চেয়ারম্যার মাওলানা সোলাইমান ফারুকী, মুহাম্মদ আহসান হাবিব চৌধুরী হাসান, ছাত্রনেতা জি.এম শাহাদত হোছাইন মানিক, পীরজাদা মুহাম্মদ আশেকুর রহমান হাফেজনগরী, অধ্যক্ষ আহমদ রেজা নক্সবন্দী, আলহাজ্ব মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল গফুর খান, মুহাম্মদ মিজবাহ উদ্দীন,আলহাজ্ব মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল আমীন আলকাদেরী, মুহাম্মদ হেফাজুল করিম,মুহাম্মদ আবদুর রহিম, মাওলানা সোহাইল আনসারী, ছাত্রনেতা সাইফুদ্দীন আহমেদ মানিক, মুহাম্মদ আলী আক্কাস, মুহাম্মদ মারূফ রেজা, মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন, মুহাম্মদ সেলিম, মুহাম্মদ রানা, মুহাম্মদ আবদুস সবুর অপু, মুহাম্মদ শাহ নেওয়াজ চৌধুরী অপু, আনিসুল হক মিঠু, ইলিয়াস চৌধুরী বাবর, মুহাম্মদ সুমন, মোমেনুর রশিদ, মুহাম্মদ সরোয়ার উদ্দীন, মুহাম্মদ দিদারুল আলম, মুহাম্মদ আবদুল মুবিন, মুহাম্মদ পারভেজ, মুহাম্মদ ফরহাত প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে আবু আহমেদ চৌধুরী জুনু বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে এদেশের সুফীবাদী মুসলমানদের ভূমিকা ছিল অনন্য। দরবারের মাশায়েখ, সুন্নী ওলামায়েকেরাম স্বাধীনতার স্বপক্ষে ছিল। শেরে মিল্লাত আল্লামা নঈমী (রহ:)ও স্বাধীনতার স্বপক্ষে ছিল। তিনি শেরে মিল্লাতের ইন্তেকালের পর মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শোক বিবৃতি প্রদান করায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। মিলাদ-কিয়ামের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে শেরে মিল্লাতসহ মহামারিতে মৃত্যুবরণকারী সকলের জন্য দোয়া করা হয়।