শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ এবং মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ছিলো চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের প্রেরণা- বাসদ

চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের ৯৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার(১৮ চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ জেএমসেন হলে সকাল ৯ঃ৩০ টায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য হেলাল উদ্দিন কবির,আহমদ জসীম, মহিলা ফোরাম আহবায়ক জোবায়ের বীনা, সদস্য সুপ্রীতি বড়ুয়া, প্রগতিশীল শিল্প ও গণমাধ্যমকর্মী পার্থ প্রতীম নন্দীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

পুষ্পমাল্য অর্পণকালে নেতৃবৃন্দ বলেন, ” চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ এদেশের মুক্তি আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও গৌরবময় ঘটনা। বৃটিশ রাজত্ব থেকে এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য মাস্টারদা সূর্য সেন ও তাঁর সহযোগীরা আমৃত্যু লড়াই করে গেছেন। আপোষকামী ধারার পরিবর্তে সেদিন যদি নেতাজী, সুভাষ বসু, মাস্টারদা সূর্যসেনদের মতো আপোষহীন নেতৃত্বে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আসতো ,তাহলে ইতিহাস ভিন্ন হতো। মাস্টারদা সূর্যসেনের স্বপ্ন ছিলো একটা শোষণ, বৈষম্যহীন, স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব দেশ প্রতিষ্ঠা করা। ১৯৩০ সালে ১৮ এপ্রিল ৪ দিনের জন্য চট্টগ্রামকে স্বাধীন ঘোষণা করে তিনি দেশের মানুষের প্রতি সেই আহবান জানিয়েছিলেন।

আজ বৃটিশ নেই, পাকিস্তানও নেই। কিন্তু শোষনমূলক ব্যবস্থা হিসেবে পুঁজিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে শোষণ বৈষম্য উচ্ছেদ হয় নি। গণভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে দেশের মানুষ সরকারের পরিবর্তন ঘটালেও সিন্ডিকেট, লুটপাট, নারী নির্যাতন,শ্রমিক শোষণ, রাষ্ট্রের কালাকানুন প্রয়োগ বন্ধ হয় নি। স্বাধীনতার পর ধনিকশ্রেণীর স্বার্থে দেশ পরিচালিত হওয়ায় একে পর এক এই সংকট তৈরি হয়েছে। এর বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ লড়াই তৈরি করতে মাস্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতাসহ অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের লড়াই আপসহীন লড়াই আগামীদিনের সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জোগাবে। ”