প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর কালারফুল পুনর্মিলনী দিনব্যাপী নানা আনুষ্ঠানিকতা ও পরিবারসহ বিপুল অ্যালামনাইর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ১৮ জানুয়ারি, শনিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতেই জারুল তলায় শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব জামাল মোস্তফা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও অর্থ সম্পাদক আ ন ম নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মুহিবউল্যাহ ছিদ্দিকী। আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ও বর্তমান নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ শওকত আলী নূর, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী, ড. মো. মোরশেদুল আলম ও সৈয়দ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সেলিম, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান নির্বাহী সদস্য আহমদ ইমরানুল আজিজ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুনর্মিলনী প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ওমর ফারুক হোসাইনী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মোস্তফা নাজমুল কাউসার আরমান, মুহাম্মদ নুরুল বশর রাসেল, মুহাম্মদ আইয়ুব আলী, এ এম রমিজ আহমদ ও জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ আইয়ুব ও দেলোয়ার হোছাইন। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অতিথি ও সমিতির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বেলুন উড়িয়ে পুনর্মিলনীর শুভ উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার তাঁর ভাষণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে অ্যালামনাইর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অ্যালামনাইবৃন্দ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নান্দনিক ক্যাম্পাসে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান। তিনি বলেন, অ্যালামনাইরা হচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বেসেডর। তাঁরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণের টানে এ ক্যাম্পাসে আসেন। ক্যাম্পাসে এসে তাঁরা আবেগ-আপ্লুত হয়ে যান এবং তাঁদের শিক্ষাজীবনের নানা স্মৃতি ভেসে ওঠে। তিনি আরও বলেন, চব্বিশের জূলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এদেশ সংস্কারের যে অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে, তা আমরা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে চাই। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইসহ সকল মহলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। উদ্বোধনের পর ড. আবদুল করিম ভবনের সম্মুখ থেকে পুনর্মিলনী র্যালী শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবন, নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবন, বুদ্ধিজীবী চত্বর, শহীদ মিনার, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, জাদুঘর হয়ে চাকসু ভবনের সামনে শেষ হয়। এরপর অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোর, মহিলা ও পুরুষ ক্যাটাগরিতে ক্রীড়া কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এরপর ক্যাম্পাসে ঘুরাঘুরি, আড্ডা, স্মৃতিচারণ ও বিভাগে অভ্যর্থনা গ্রহণ করে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভাগে বসে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা। সেখানে বিভাগের পক্ষ থেকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের গ্রামবাংলার পিঠা-পুলি, ফলমূল দিয়ে অ্যাপায়ন করা হয়। বিভাগের শ্রেণিকক্ষ, সভাপতির অফিস ও শিক্ষকদের চেম্বারে প্রাক্তনীরা আড্ডা ও স্মৃতিচারণে মেতে ওঠেন। দুপুরে চাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় মধ্যাহ্ন ভোজের পর জারুল তলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল অন্যরকম আমেজ। অতিথি শিল্পীর পাশাপাশি অ্যালামনাইদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা চলতে থাকে। এরপর র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠান সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আহমদ ইমরানুল আজিজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় এবং পরিশেষে ইভেন্টস্ কার্যক্রমের পুরস্কার বিতরণ, স্মারক প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।