পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর পচাগলা ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই (রাঙামাটি)।
তিনতলা ভবনের একটি বন্ধ কক্ষের ভিতর থেকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে থাকা অবস্থায় এক ছাত্রের পচাগলা লাশ মঙ্গলবার(৯ এপ্রিল) সকাল প্রায় সোয়া নয়টায় উদ্ধার করেছে কাপ্তাই থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কাপ্তাই উপজেলাধীন কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নবী হোসেনের নিজস্ব তিন তলা ভবনে। ছাত্রটি ওই কক্ষে একাই ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করত বলে জানা গেছে। সে কাপ্তাইয়ের বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের (বিএসপিআই) মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের শেষবর্ষের ছাত্র।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কাপ্তাই মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নবী হোসেনের নিজস্ব ভবনের তয় তলায় একটি বন্ধ কক্ষের ভিতর থেকে সিলিংয়ের সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে থাকা অবস্থায় বিএসপিআই’র মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের শেষবর্ষের ১ম শিফটে অধ্যয়নরত ওই শিক্ষার্থীর নাম জাহিদ হাসান জয় (২২)। তার গ্রামের বাড়ি ময়মসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জের দত্ত পাড়ায় বলে জানান বিএসপিআই’র অধ্যক্ষ আবদুল মতিন হাওলাদার। তার পিতার নাম মোঃ দুলাল উদ্দিন ও মাতার নাম মোছাঃ তাহেরা খাতুন।
ঘটনারদিন সকাল প্রায় সাড়ে ৮ টার দিকে কাপ্তাই থানার ওসি (তদন্ত) দেবাশীষ সানার নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স কাপ্তাইয়ের বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান জয়ের মৃতদেহ ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করেন। সে মোঃ নবী হোসেনের বিল্ডিংয়ের বাসার একটি কক্ষে একাই ভাড়া থাকতো বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ইমাম আলী।
কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুঃ সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধারণা করা হচ্ছে, গত ৬ এপ্রিল শবে কদরের রাত ১০-১১ টার দিকে ছেলেটা আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে সেটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না, তদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
কাপ্তাই থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম জানান, লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। দ্রুত ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে তিনি জানান।
কাপ্তাই মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নবী হোসেন জানান, ছেলেটি আমার বাসায় একাই ভাড়া থাকতো। সে অত্যন্ত ভদ্র প্রকৃতির ছেলে এবং নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করতো। কিন্তু কেন সে আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়ে বলতে পারছি না।