বাংলাদেশের সাথে একই দিনে ভিয়েতনাম প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন

কাজী জাহাঙ্গীর, বিশেষ প্রতিনিধি ভিয়েতনাম:: ভিয়েতনাম এ সামান্য সংখ্যক মুসলিম যারা আছেন তারা সাধারণত সৌদি আরবের সাথেই রোজা পালন এবং ঈদ উদযাপন করে থাকেন, কিন্তু এবার সৌদি আরবের চাঁদ দেখার খবর পেতে অনেক দেরি হওয়াতে ভিয়েতনাম মুসলিম কমিউনিটি বিশেষকরে রাজধানী হানয়ের আল-নুর মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্তে ৩০ রোজা সম্পন্ন করে ২২শে এপ্রিল শনিবার ঈদ উদযানের ঘোষনা করা হয়। যার ফলে ভিয়েতনাম প্রবাসি বাংলাদেশীরা এবার একই দিনে দেশের সাথেই ঈদ উদযাপন করেছে যদিও ঈদ জামাতের সময় ১ঘন্টা আগে পরে হয় ভিয়েতনাম সময় অনুযায়ী। রাজধানী হানয় এ আলনুর মসজিদের আশে পাশে সামান্য কিছু মুসলিমের বসবাস থাকলেও এই মসজিদের করমকান্ড পরিচালনা বিভিন্ন মুসলিম দেশের দুতাবাস করমকরতা দের সক্রিয় অংশগ্রহনের মাধ্যমে হয়ে থাকে, যার ফলে এই মসজিদে রয়েছে সৌদি আরব থেকে প্রশিক্ষণ প্রপ্ত ভিয়েতনামি ইমাম। নামাজ শুরুর আগে ইমামের সাথে আলোচনায় বসেন সেসব দুতাবাসের লোকজন কিভাবে সকলে মিলে সুচারু রূপে সম্পন্ন করা যায় জামাত। আগের বছর গুলোতে ইংরেজীতে বয়ান হলেও গত দুবছর ধরে নামাজের পরে মোনাজাতের আগে আরবী এবং ভিয়েতনামিজ ভাষায় বয়ান হচ্ছে, মুসলিম বিশে^র জন্য কল্যান কামনা, মুসলিম ভাতৃত্বের ঐক্য ও দৃঢ়তা কামনা করা হয় আল্লার কাছে মোনাজাতে।
বিষয়টা এরকম যে ইরান, সৌদি, বাহরাইন সহ কিছু আফ্রিকান মুসলিম দেশ, যেগুলোর দুতাবাস রয়েছে এখানে তারা সবাই একসাথে নামাজ পড়তে আসলেও প্রত্যেকের দেশের রীতির ভিন্নতা যাতে সমস্যা না হয় সেটা নামাজের আগেই আলোচনা করে ঠিক করে নেওয়া হয়। সাধারণত আমরা যারা বাংলাদেশী আমরাও প্রথম প্রথম একটু আশ্চয্য হতাম রীতির ভিন্নতা দেখে, কিন্তু সকলেই যে যার রীতি মত একই ইমামের পিছনে খুবই শান্তভাবে জামাতে শরিক হয়ে নামাজ শেষে আনন্দ কোলাকুলিতে মেতে উঠেন। আরো মজার বিষয় হলো বিভিন্ন দুতাবাস থেকে জামাত শেষে পরিবেশনের জন্য থওে থরে সাজিয়ে রাখা হয় খেজুর, কেক-বিস্কুট, চা-কফি ইত্যাদি যার ফলে ভিন্ন ভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন কালচাওে মানুষ হয়ে মুসলিম ভ্রাতৃত্বে এক হয়ে যাওয়া যায় এই মহা মিলনের ক্ষণে।
জানিনা এই মুসলিম কমিউনিটিকে ঘিরে কিনা তবে মসজিদের সামান্য কাছেই রয়েছে একটা মিষ্টিদ্রব্য ও কেক প্রেস্ট্রির দোকান, যা আমাদের মিষ্টিমুখ করার রেওয়াজকে ধারন করায় আমাদের যথেষ্ঠ সহায়তা করে। নামাজের জন্য ছুটি নিয়ে এসে নামাজ শেষে কলিগদের জন্য ইচ্ছেমত মিষ্টি কিনে তাদেরকে আমাদের ঈদ আনন্দের অংশিদার করতে পারার আনন্দটা খুবই প্রশান্তিদায়ক আমার কাছে।