চড়ই সওদাগরের মিষ্টি

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান উপজেলার ২নসং ডাবুয়া ইউনিয়নের ডাবুয়ার প্রয়াত বিরেন্দ্র লাল চৌধুরী প্রকাশ চড়ই সওদাগর রাউজানের ডাবুয়ার বাইন্যার হাটে জগন্নাথ মিষ্টি বিতান প্রতিষ্টা করেন । প্রথমের বেড়ার ঘেরা টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরের মধ্যে মিষ্টির দোকান চালু করে। এলাকার গৃহপালিত গাভীর দুধ সংগ্রহ করে চড়ই সওদাগর মিষ্টি ও প্যারা, সন্দেষ, দই, মাডা তৈয়ারী করে তা দোকানে বিক্রয় করতো । চড়ই সওদাগেরর দোকানের তৈয়ারী মিষ্টি ও প্যারা স্বাধ রাউজান সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বিশ^ অলী শাহান শাহ জিয়াউল মাইজভান্ডারী প্রতিনিয়ত ছুটে আসত ডাবুয়ার চড়ই সওদাগের দোকানে । বিশ^ অলি শাহান শাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী চড়ই সওদাগের দোকানের তৈয়ারী মিষ্টি নিয়ে যেত । বিশ^ অলি শাহান শাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারীকে প্রয়াত চড়ই সওদাগর সমিহ করতেন । একদিন বিশ^ অলি শাহান শাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী চড়ই সওদাগরের দোকানে এস প্রয়াত চড়ই সওদাগরকে দেখে বললেন দোকানের ক্যশের চেয়ারে বসে টাকা না নিয়ে ক্যাশের সামনে দড়িয়ে টাকা নিতে বলেন। বিশ^ অলি শাহান শাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারীর এক নির্দেশ পেয়ে প্রয়াত চড়ই সওদাগর ক্যামের চেয়ারের সামনে দাড়িয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করে। পর্যায়ক্রমে ডাবুয়ার চড়ই সওদাগরের দোকানের তৈয়ারী মিষ্টি ও প্যারার সুনাম দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে বিবাহ, বিভিন্ন অনুষ্টানের জন্য ডাবুয়ার চড়ই সওদাগরের দোকানের মিষ্টি ক্রয় করে নিয়ে যায় । প্রয়াত চড়ই সওদাগারের দোকানের তৈয়ারী মিষ্টি আত্বিয় স্বজনদের বাড়ীতে উপহার হিসাবে নিয়ে যায় । ডাবুয়ার প্রয়াত চড়ই সওদাগর এর প্রতিষ্টান জগন্নাথ মিষ্টি বিতান বর্তমানে পাকা দোকান ঘরে । ডাবুয়ার প্রয়াত চড়ই সওদাগর এর পুত্র রাজু চৌধুরী ডাবুয়ার বাইন্যার হাটে জগন্নাথ মিষ্টি ঘর দোকান পরিচালনা করেন । অপর পুত্র রুপন চৌধুরী রাউজান কলেজ গেইটে চড়উ সওদাগর মিষ্টি বিতান পরিচালনা করেন । প্রয়াত চড়ই সওদাগরের প্রতিষ্টিত মিষ্টির দোকানে মিষ্টি তৈয়ারীর জন্য দুধ ব্যবহার করা হয় । ডাবুয়ায় প্রয়াত চড়ই সওদাগরের পুত্র সুজন চৌধুরীর মালিকানাধীন তিস্তা ডেইরী ফার্মের গাভীর উৎপাদিত দুধ দিয়ে দুটি মিষ্টির দোকানে মিষ্টি তৈয়ার করা হয় । সরেজমিনে পরিদর্শন কলে দেখা যায় ডাবুয়ার বাইন্যা হাটে জগন্নাথ মিষ্টি বিতানের পেছেন ২৪ শতক জমি ক্রয় করে সুজন চৌধুরী তিস্তা ডেইরী ফার্ম প্রতিষ্টা করেন। তিস্তা ডেইরী ফার্মে ২০টি উন্নত জাতের জাতের গাভী রয়েছে । ২০ টি উন্নত জাতের গাভী থেকে প্রতিদিন ২শত লিটার দুধ উৎপাদন হলে ও বর্তমানে অর্ধেক গাভী গর্ভবতী হওয়ায় দুধের উৎপাদন কমছে । ১০টি গাভী থেকে প্রতিদিন ১শত লিটার দুধ উৎপাদন হয় । তিস্তা ডেইরী ফার্মের গাভী থেকে উৎপাদিত দুধ প্রয়াত চড়ই সওদাগরের দুটি মিষ্টির দোকানে মিষ্টি তৈয়ারী করা হচ্ছে । তিস্তা ডেইরী ফার্মের মালিক সুজন চৌধুরী বলেন, বিশ^ অলি শাহান শাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারীর দয়া ও মেহেরবানীতে আমার প্রয়াত পিতা বিরেদ্র লাল চৌধুরী প্রকাশ চড়ই সওদাগেরর প্রতিষ্টিত মিষ্টির দোকানে মিষ্টি তৈয়ারী করার পর তা বিক্রয় করে আমাদের পরিবার সম্বৃদ্বশালী হয়ে আমি আমার ২ ভাই রাজু চৌধুরী, রুপন চৌধুরী সফল ভাবে ব্যবসা প্রতিষ্টান পরিচালনা করছি । এখনো বিশ^ অলি শাহান শাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারীকে আমি ও আমার পরিবার স্বরণ করি । বিশ^ অলি শাহান শাহ জিয়াইল হক মাইজভান্ডারীর পবিত্র পদধুলি পাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্টান আমাদের জীবনের চলার পথকে সুগম করেছে । সুজন চৌধুরী জানান, করোনার প্রাদুভার্বের কারনে ব্যবসা প্রতিষ্টান থাকার পুর্বে প্রতিদিন ডাবুয়া বাইন্যার হাট জগন্নাথ মিষ্টি বিতানে দুই মন মিষ্টি বিক্রয় হয় । ২ মন মিষ্টি তৈয়ারীর কাজে নিজ ডেইরী ফার্মের উৎপাদিত দুধ নিজ ডেইরী ফামের উৎপাদিত দুধ দিয়ে । এছাড়া ও রাউজান কলেজ গেইটের সামনে চড়ই সওদাগর মিষ্টি বিতানে মিষ্টি তৈয়ারীর কাজে ও ডেইরী ফার্মের দুধ ব্যবহার করে। দুটি মিষ্টির দোকানের মিষ্টি তৈয়ারীর জন্য নিজ ডেইরী ফার্মের গাভীর দুধ ছাড়া ও বাইর থেকে দুধ ক্রয় করা হয় । করোনার প্রার্দুভাবের কারনে লকডাউন ঘোষনা করায় দোকান বন্দ্ব থাকায় দোকানে মিষ্টি বিক্রয় কমে গেছে । তবে বিভিন্ন এলাকার লোকজন ফোন করে মিষ্টি ক্রয় করার অর্ডার দেয় । কারখানায় মিষ্টি তৈয়ারী করে বিক্রয় করা হয় । ডেইরী ফার্মের উৎপাতি দুধ মিষ্টি তৈয়ারী করা না হলে ও উৎপাতি দুধ দিয়ে প্যারা তৈয়ারী করে দোকানে মজুদ রাখা হয় ।