সুর্যমুখি ফুল চাষে আনন্দে আত্মহারা কৃষক

রাউজান প্রতিনিধিঃ রাউজানে প্রথম বারের মতো কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহায়তায় ২০ জন কৃষক ২০টি প্লটে ৩ হেক্টর ফসলী জমিতে সুর্যমুখি ফুলের চাষাবাদ করে ভাল ফলন হওয়ায় কৃষকেরা আনন্দে আর্ত্নহারা হয়ে উঠেছে।

রাউজান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে সুর্যমুখী ফুলের চাষের জন্য বীজ, সার, সহ চাষাবাদের সকল উপকরন দিয়ে রাউজানে সুর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ করিয়েছেন কৃষদের। রাউজান পৌরসভার সাহানগর, ডাবুয়া, হলদিয়া, রাউজান ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ২০ হেক্টর জমিতে এবারে প্রথমবারের মতো সুর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ করে কৃষকেরা । গত বৎসরের ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই এলাকার কৃষকেরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় সুয়মুখী ফুল গাছের বীজ বপন করেন । সুর্যমুখী ফুল গাছ বড় হয়ে সুর্যমুখী ফুল গাছে ফুটলে । সুর্যমুখী ফুল বাগানের অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে এলাকার লোকজন দল বেধে সুর্যমুখী ফুলের বাগানে উপস্থিত হয়ে আনন্দে মেতে উঠেন । রাউজানে যে সব কৃষকরা সুর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ করেছে ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকেরা আনন্দে আর্ত্নহারা হয়ে উঠেছে । রাউজানের কেউটিয়া এলাকার কৃষক কাজল বড়ুয়া ৪০ শতক জমিতে সুর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ করেন। কৃষক কাজল বড়ুয়া বলেন, সুর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ করতে বীজ, সার, সহ সকল উপকরন কৃষি বিভাগ থেকে দেওয়া হয়েছে । শুধু জমির চাষ ও শ্রমিকের মজুরী বাবদ আমার খরচ হয়েছে ২ হাজার টাকা । রাউজান উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কমর্কতা সঞ্জয় কুমার চন্দ, দিদারুল আলম বলেন, রাউজানে ২০ জন কৃষক ৩ হেক্টও জমিতে সুর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ করেছেন । উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে বীজ, সার সহ সকল উপকরন কৃষককে দেওয়া হয়েছে । সুর্যমুখী ফুলের গাছের বাগান থেকে আগামী একমাস পর সুর্যমুখী ফুল থেকে উৎপাদিত সুর্যমুখি ফুলের বীজ সংগ্রহ করা হবে । সংগ্রহ করা বীজ রাউজানের চিকদাইর এলাকায় সরিষার বীজ থেকে ঘানির মাধ্যমে উৎপাদিত সরিষা তৈল ঘানির মেশিন দিয়ে সুর্যমুখী বীজ থেকে সুর্যমুখী তৈল উৎপাদন করে কৃষকেরা ঐ তৈল বাজারে বিক্রয় করবেন । এবারে সুর্যমুখী ফুলের বাগান থেকে ৬ মেট্রিক টন বীজ উৎপাদিত হবে। উৎপাদিত মেট্রিক টন সুর্যমুখি বীজ থেকে মেট্রিক টন সুর্যমুখী তৈল উৎপাদন হবে । প্রতি লিটার সুর্যমুখী তৈলের বাজার মুল্য ২শত ২শত ৫৯ টাকা করে চার মেট্রিক টন সুর্যমুখী তৈল থেকে ১০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ।