মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই(রাঙামাটি): কাপ্তাই উপজেলাধীন পাঁচ ইউনিয়নে ফসলী জমিতে বর্তমানে বোরো ধানের চারা রোপণ করা শুরু হয়েছে। ফলে ফসলের মাঠজুড়ে বোরো ধানের আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষাণ-কৃষাণীরা। ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে বোরো ধানের চারা রোপণ করতে দেখা গেছে স্থানীয় চাষীদের।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাই, চিৎমরম, ওয়াগ্গা এবং রাইখালী ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৬শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হচ্ছে। বোরো মৌসুমের বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল জাতের পাশাপাশি ভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধানের চাষাবাদও হচ্ছে। উফশী জাতের মধ্যে ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২, ব্রি ধান ১০০, ১০১, ১০২, ১০৪, ১০৫ প্রভৃতি জাতের ধানের আবাদ করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে স্থানীয় চাষীদের বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করা হচ্ছে। এবং সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
কাপ্তাইয়ের স্থানীয় কৃষক কিরণ তঞ্চঙ্গ্যা, মোঃ আলিউর রহমান সহ একাধিক কৃষক জানায়, উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ী অঞ্চল ছাড়াও সমতল ভূমিতে কৃষি অফিসের সহযোগীতা ও নির্দেশনায় তারা বোরো ধানের আবাদ শুরু করেছেন। তবে বর্তমানে সার ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো চাষাবাদে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে চাষাবাদের পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বিগত বছরের ন্যায় এবারও বোরো ধানের ভাল ফলনে করণীয় গুলো করা হবে।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইমরান আহমেদ জানান, প্রতিবছরই কাপ্তাই উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ ভাল হয়ে থাকে। সেসাথে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে থাকে। এবারও আশা করছি, চলতি মৌসুমেও স্থানীয় চাষীরা বোরোর আবাদে বেশ লাভবান করবেন। তাছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে স্থানীয় কৃষকদের ফসল চাষে উৎসাহী করতে এবং দক্ষ করে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এদিকে, উপজেলার প্রতিটি ব্লকে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা সরেজমিন গিয়ে কৃষকদের বোরো আবাদে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে পতিত জমিগুলোকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া সহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে কৃষি অফিস।