বন্যা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা

ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, সুরমা, তিস্তা, কুশিয়ারা, যাদুকাটাসহ বন্যা প্রবণ প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানিই বর্তমানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিস্তৃত হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। ফলে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

শুক্রবার (২৬ জুন) ছয় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও শনিবার (২৭ জুন) সেটা বেড়ে নয় জেলা হয়েছে। এই পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

পাউবোর নির্বাহী পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, সব প্রধান নদ-নদীসমূহের পানির উচ্চতা বাড়ছে, যা আগামী তিনদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

রোববার (২৮ জুন) নাগাদ যমুনা নদীর সারিয়াকান্দি ও কাজিপুর পয়েন্টে এবং সোমবারের মধ্যে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া সোমবারের (২৯ জুন) মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কুশিয়ারা, সমেশ্বরী এবং ভুগাই-কংশ নদীর পানি সমতল আরো বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

তিস্তা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল ও বিপদসীমার নিচে অবস্থান করতে পারে।অপরদিকে ধরলা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত অথবা স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করতে পারে।

এই অবস্থায় রোববার নাগাদ কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। অপরদিকে লালমনিরহাট এবং নীলফামারী জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

ভারতের চেরাপুঞ্জিসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত। আসামে ৪ মিলিমিটার ছাড়িয়ে গেছে বর্ষণ। এছাড়া দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। ফলে বন্যা প্রবণ সব নদ-নদীই ফুলে ফেঁপে ওঠেছে। সবচেয়ে হারে পানি বাড়ছে যমুনা, কুশিয়ারা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা নদ-নদীর পানি।

ধরলার পানি কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার অন্তত ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তিস্তার পানি ডালিয়া ১৮ সেমি. ওপর দিয়ে, নুনখাওয়ায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ২১ সেমি, চিলমারীতে ৩৫ সেমি, ফুলছড়িতে যমুনার পানি ২৫ সেমি, বাহাদুরাবাদে ১৮ সেমি, কানাইঘাটে সুরমার পানি ৪০ সেমি, সুনামগঞ্জে কুশিয়ারার পানি ৪৬ সেমি ও যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।