কাপ্তাইয়ে নদীর তীর রক্ষামূলক কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই (রাঙামাটি)। পানি উন্নয়ন বোর্ডের “চট্টগ্রাম জেলাধীন রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী উপজেলা ও রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদী, ইছামতী নদী, শিলক খালসহ অন্যান্য খালের উভয় তীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা (১ম সংশোধিত) “শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় বেশ কয়েকটি কাজের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করা হয়েছে শনিবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টায়। বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রকল্পের আওতায় কর্ণফুলী নদীর বাম তীরে কাপ্তাই প্রজেক্ট বড় মসজিদ এলাকায় ৮০ মিটার, চিৎমরম মুসলিম পাড়া এলাকায় ১০০ মিটার, চিৎমরম ঘাট এলাকায় ১০০ মিটার, কর্ণফুলী নদীর ডান তীরে শীলছড়ি শহীদ মিনার এলাকায় ১৫০ মিটার এবং কাপ্তাই উপজেলা রেস্ট হাউস এলাকায় ২০০ মিটার তীর প্রতিরক্ষামূলক কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। তিনি প্রথমে উপজেলার শীলছড়ি খেলার মাঠে এবং পরে বেলা ১২ টায় চিৎমরম ইউনিয়নের চিৎমরম হেডম্যান পাড়া এলাকায় পৃথক পৃথক ভাবে প্রকল্প সমুহের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় ৪১ বিজিবির অধিনায়ক তানজিলুর রহমান ভুইয়া, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী ও দীপ্তিময় তালুকদার, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দীন, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উমেচিং মারমা, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আনচারুল করিম, কাপ্তাই থানার ওসি মোঃ আবুল কালাম, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য প্রকৌশলী থোয়াইচিং মং মারমা সহ জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান, কারবারি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা জানান, প্রকল্পের আওতায় ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করা এসব কাজ ২০২৫ সালের জুন মাসে শেষ হবে।