নীতিমালা লঙ্ঘন: বাংলাদেশের ৪২ লাখ ভিডিও সরিয়েছে টিকটক

শর্ট ভিডিওর জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটক সবশেষ কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৩) এ রিপোর্টে ভুল তথ্যের প্রচার রোধ এবং অনলাইনকে নিরাপদ করতে টিকটক সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।

জবাবদিহিতার মাধ্যমে আস্থা অর্জন, কমিউনিটির জন্য প্ল্যাটফর্মটিকে নিরাপদ করে তোলা এবং অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে টিকটক। টিকটক ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের দায়ে ৯ কোটি ১০ লাখ ৩ হাজার ৫১০টি ভিডিও সরিয়েছে। যা প্ল্যাটফর্মটিতে আপলোড করা ভিডিওর প্রায় ০.৬ শতাংশ। এ ভিডিওগুলোর মধ্যে ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯১১টি ভিডিও সরানো হয়েছে অটোমেটেড সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে পরে সেগুলোর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৬২ লাখ ৯ হাজার ৮৩৫টি ভিডিও ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।

একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের দায়ে ৪২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৩টি ভিডিও সরিয়েছে টিকটক। ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে একই কারণে সরানো হয়েছিল ৪২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬৭টি ভিডিও। এছাড়া স্প্যাম অ্যাকাউন্ট এবং সংশ্লিষ্ট কনটেন্টগুলোর উপরও লক্ষ্য রাখে টিকটক। সেই সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হওয়া স্প্যাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও নেয় প্ল্যাটফর্মটি।

২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে যেসব ভিডিও সরানো হয়েছে তার মধ্যে ৯২ দশমিক ২ শতাংশ ভিডিও সরানো হয়েছে কেউ দেখার আগেই। আর একদিনের মধ্যে সরানো হয়েছে প্রায় ৯৫ দশমিক ৩ শতাংশ ভিডিও। সে সঙ্গে এ প্রান্তিকে সক্রিয় অপসারণ করা হয় ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভিডিও। ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, সে সময় বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছিল কেউ দেখার আগেই। সে হারটি ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে কিছুটা কমে এসেছে।

বিশ্বের সব তরুণ ব্যবহারকারীর নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেয় টিকটক। সেদিকে নজর দিয়েই ১৩ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারী সন্দেহে বিশ্বব্যাপী সরিয়ে ফেলা হয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮৪টি অ্যাকাউন্ট। এ ছাড়া প্রথম প্রান্তিকে ৫ কোটি ১২ লাখ ৯৮ হাজার ১৩৫টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরানো হয়, যা প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে টিকটকের একটি অন্যতম প্রচেষ্টা।

২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকের সম্পূর্ণ রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন টিকটকের ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার। বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় এটি জানতে পারবেন।