রাউজানের নিউজ

রাউজানে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের রাউজানে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সময় পুকুরে পানিতে ডুবে মো: জিহাদ (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭Ñআগস্টা) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার ৮নম্বর কদলপুর ইউনিয়নের মাইজপাড়া ৯নম্বর ওয়ার্ডে এই মর্মান্তিক হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ঐ এলাকার মো: খুরশেদ আলমের পুত্র। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো: নাছির উদ্দিন বলেন, জিহাদসহ আরও কয়েকজন মিলে বাড়ির পাশের পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সময় জিহান পুকুরে পড়ে যায়। পরে পুকুর থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জিহাদ ৩ ভাইয়ে মধ্যে ২য়। ব্র্যাক স্কুলে ১ম শ্রেনিতে সেই পড়াশোনা করেন। এদিকে আদরের সন্তাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা মা।
বার্তা প্রেরক, শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি, তারিখ, ১৭,০৮,২০২২, মোবাইল, ০১৫৫৮-৬৪২২৮৫

রাউজানে আর্ত্নগোপনে থাকা সন্ত্রাসীরা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠছে শীর্ষ সন্ত্রাসী টিুটু তার দু সহযোগী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সহ আটক পুলিশের অভিযানে
শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ দুবাই বসে রাউজানে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নিল নকসা করে শীর্ষ পর্যায়ের বহুল আলোচিত বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সাংসদ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা দুটি যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত একে -২২ রাইফেল ইতালির তৈয়ারী একটি পিস্তল, ১টি থ্রি নট থ্রী রাইফেল ১টি একনলা বন্দ্বুক, একটি এলজি, ৫০ রাউন্ড একে ২২ রাইফেলের অকেজো গুলি, ৪৫ রাউন্ড একে ২২ রাইফেলে তাজা গুলি, ৮ রাউন্ড ৭.৬৫ বুলেট, ১০ রাউন্ড অজ্ঞাত অস্ত্রের গুলি, শর্টগানের ১০ রাউন্ড গুলি, একটি হিরো হোন্ডা মোটর সাইকেল সহ রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পালোয়ান পাড়া এলাকা বাসিন্দ্বা মৃত আবুল হাশেমের পুত্র শীষ সন্ত্রাসী কামরুল হাসান টিটু (৫৫) তার সহযোগী একই ইউনিয়নের রাজার পাড়া এলাকার মৃত গোলাম হোসেনের পুত্র নুরুল আবছার (৪৩) হাটহাজারী উপজেলার কুয়াইশ বাদামতল এলাকার মৃত কামাল উদ্দিনের পুত্র গিয়াস উদ্দিন বাবুল ওরফে সাদ্দামকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গত ১৬ আগষ্ট দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে রাউজানের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন সন্ত্রাসীকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র সহ পুলিশ গ্রেফতার করে। গতকাল ১৭ আগষ্ট বুধবার দুপুর বারটার সময়ে বিপুল পরিমান অস্ত্র সহ আটক তিন সন্ত্রাসীকে নিয়ে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার কার্যলয়ে সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এম রশিদুল হক সাংবাদিকদের অভিযানের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন । প্রেস ব্রিফিংকালে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এম রশিদুল হক বলেন,রাউজান সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামিম ও রাউজান থানার ওসি আবদুল্ল্রাহ আল হারুনের নেতৃত্বে রাউজান থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান অস্ত্র সহ শীর্ষ সন্ত্রাসী কামরুল হাসান টিুটু, নুরুল আবছার, সাদ্দামকে আটক করেন । সন্ত্রাসীরা ডাকতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে তাদের আটক করা হয় । তিন সন্ত্রাসীকে আটক করার পর তাদের দেহ তল্লাসী ও তাদের ঘর থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র উদ্বার করা হয় । তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের পর তাদের বিরুদ্বে অস্ত্র আইনে ও ডাকতির প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে দুটি মামলা রুজু করা হয় ।সন্ত্রাসীরা কামরুর হাসান টিটুর ঘরে বসে গোপনে রাউজানের সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী ও স্থানীয় জনপ্রতিধিদের হত্যার নিল নকসা তৈয়ার করেন । দুবাইতে বসে চট্টগ্রামের এক আলোচিত রাজনৈতিক নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পালোয়ান পাড়া এলাকার বাসিন্দ্বা সন্ত্রাসীদের পৃষ্টপোষক জসিম উদ্দিন প্রকাশ দুবাই জসিম শান্তির জনপদ রাউজানকে আবারো সন্ত্রাসের জনপথ হিসাবে গড়ে তোলতে গোপন বৈঠক করে । পরিকল্পনা অনুসারে গত দু মাস পুর্বে রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়াকে হত্যার প্রচেষ্টা চালায় । পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী কামরুল হাসান টিটু ৯৬ সালে নোয়াপাড়া পুলিশ ফাড়ি লুট ও আনসার আবদুর রশিদ হত্যা মামলার আসামী । পুলিশের অভিযানে আটক তিন সন্ত্রাসীকে গতকাল ১৭ আগষ্ট বুধবার দুপুরে পুলিশ আদালতে সোর্পদ করে। গ্রেফতার হওয়া তিন সন্ত্রাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আর্ত্নগোপনে থাকা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্বে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করার প্রচেষ্টা করবে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা । এক সময়ে সন্ত্রাসের জনপথ হিসাবে খ্যাত রাউজান উপজেলাকে বর্তমান সরকারের শাসন আমলে সন্ত্রাসমুক্ত করে শান্তির জনপদে পরিণত করে রাউজানের সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি ও রাউজানের আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা । রাউজানে আবারো সন্ত্রাসের জনপথ হিসাবে গড়ে তোলতে আর্ত্নগোপনে থাকা সন্ত্রাসীরা দুবাই থেকে তাদের নেতার নির্দেশে মরিয়া হয়ে উঠেছে । আর্ত্নগোপনে থাকা সন্ত্রাসীদের রয়েছে রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তার বাসিন্দ্বা ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন অপহরন ও হত্যা মামলার আসামী শফিকুল ইসলাম, হলদিয়া ইউনিয়নের এয়াসিন নগর এলাকার সন্ত্রাসী দুলাল, জমির, ডাবুয়া ইউনিয়নের হিংগলা এলাকার বাসিন্দ্বা শীর্ষ সন্ত্রাসী আজিজুল হক, সুরমা ফজল, নুরুল ইসলাম, দক্ষিন হিংগলা এলাকার সন্ত্রাসী নেজাম, রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সাপলঙ্গা এলাকার বাসিন্দ্বা কুড়া আজম, সাবের সুলতান কাজল, চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিন সর্তা এলাকার বাসিন্দ্বা শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বাচাইয়্যা, এখতেয়ার উদ্দিন সুনইক্যা, রাউজান ইউনিয়নের পুর্ব রাউজান এলাকার বাসিন্দ্বা সন্ত্রাসী ডাকাত সাহা আলম সাহাইয়্যা, কদলপুরে আজম খান,ধামা ইলিয়াছ, হারুন, পুর্ব গুজরা ইউনিয়নের উত্তর গুজরা বাবুল, শীর্ষ সন্ত্রাসী বিধান বড়ূয়া, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের বদু মুন্সি পাড়ার বাসিন্দ্বা শীর্ষ সন্ত্রাসী রমজান আলী, ফরিদ, মগদাই এলাকার পারভেজ, কাগতিয়ার বজল, জুমইয়্যা, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের শীর্ষ সন্ত্রাসী ফজল হক, আবু তাহের, টাইগার নাসির সহ আর্ত্নগোপনে থাকা সন্ত্রাসীরা কেউ চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঢাকায়, কেউ কেউ সৌদি আরবে, কেই দুবাইতে রয়েছে । আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আর্ত্নগোপনে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদের লালন পালনকারী রাজনৈতিক নেতার নির্দেশে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠতে সক্রিয় হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ।