রাউজানে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে

শফিউল আলম,রাউজানঃ চট্টগ্রামের রাউজানে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি সড়কের দুই পাশে সারি সারি আম গাছে ঝুলছে বিভিন্ন প্রজাতির আম। এছাড়াও উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের আঙ্গিনায়, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্টানের আঙ্গিনায় ও ব্যক্তি মালিকানাধীন বাগান গুলোতেও ঝুলছে আম।

সরেজমিনে দেখা গেছে চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদের আঙ্গিনায় ও ভবনের ছাদে রোপণ করা আম গাছে ব্যাপক আমের ফলন এসেছে। এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী বলেন, রাউজানের সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশনায় ইউনিয়ন পরিষদের আঙ্গিনায় উন্নত জাতের আম গাছের চারা লাগানো হয়েছে।গত চার বছর ধরে রোপণ করা আম গাছগুলোতে ফলন আসতে শুরু করে।গত দুই বছর ধরে বাম্পার ফলন হয়। আগে একসময় মানুষের কাছে রাজশাহীর আমের চাহিদা ছিল প্রচুর।

বর্তমানে আর রাজশাহীর আমের তেমন চাহিদা নেই। বিগত কয়েক বছর ধরে রাউজানের মানুষ নিজদের উৎপাদিত আমের চাহিদা পুরন করে বাইরেও বিক্রি করেছে আম। জানা যায়, বিগত কয়েক বছর ধরে এই উপজেলায় প্রায় ২৫ লক্ষ বিভিন্ন উন্নত জাতের ফলজ গাছ লাগিয়েছেন স্থান সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী৷ তিনি ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ৫ লক্ষ গাছ লাগিয়ে ছিল। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ১ ঘন্টায় ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার গাছ লাগিয়ে ছিল।এসব ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার সড়কের দুই পাশে ও শিক্ষা প্রতিষ্টানের আঙ্গিনায় লাগানো হয়েছে।

এসব ফলজ গাছের মধ্যে রয়েছে ২৫ প্রজাতির আম গাছ। বর্তমানে রাউজানে লাগানো সারি সারি আম গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে আম। বিভিন্ন প্রজাতির আমের মাধ্যে রয়েছে, আম্রপালি, রূপালী, ফজলি, ল্যাংড়া, হাড়িভাঙ্গা, বানানা ম্যাংগো, জাপানি সূর্যডিম, ল্যাংড়া, মিশ্রিভাগ, খিরসাপাত, অরুনা, মল্লিকা, সুবর্নরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, কাঁচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপুরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা, ছাতাপরা, গুঠলি, লখনা, আদাইরা, কলাবতী আম ইত্যাদি।

রাউজান পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, রাউজানের মানুষ এখন বাইরের আম কিনে খেতে হয়না। প্রতিটি গ্রামের মানুষ তাদের রোপন করা গাছ থেকে বিষমুক্ত পাকা ফল খেতে পাড়ে।এটি সম্ভব হয়েছে রাউজানের বৃক্ষ প্রেমিক সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীর কারণে।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রে জানা যায়, রাউজানে ছোট – বড় ৭৫ টি আম বাগান রয়েছে। রাউজান উপজেলার সর্বত্র ৫৫০ হেক্টর জমিতে আম গাছ লাগানো হয়েছে। একই সাথে ৩৮৫ টি ছাদ বাগান রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির বলেন, এবছর রাউজানে প্রচুর আম ধরেছে। তবে প্রচন্ড গরমে কিছু আমের গুটি ঝরে গেছে।কোনো ধরনের প্রকৃতিক দুর্যোগ না হলে রাউজানে ব্যাপক আমের ফলন উৎপাদনের আশা করছি।