টেলিনর-আজিয়াটার একীভূতিকরণের উদ্যোগের বিষয়টি বিটিআরসিকে অবহিত করেছে রবি।
বাংলাদেশের বাজারের প্রথম এবং দ্বিতীয় দুই অপারেটরের মূল কোম্পানি টেলিনরের এশিয়া অংশ এবং আজিয়াটা গ্রুপের এই একীভূতিকরণের উদ্যোগের ঘোষণা আসে সোমবার।
আর নরওয়ে এবং মালয়েশিয়া থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিটিআরসিতে গিয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হককে অবহিত করে আসেন রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।
এ সময় রবি বিটিআরসিকে জানিয়েছে, দুটি অপারেটরের মূল কোম্পানি তাদের এশিয়ার ব্যবসা একীভূতিকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলেও তা বাংলাদেশের বাজারের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ হিসেবে একীভূতিকরণের এই আলোচনায় রবিকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্তের কথাও তারা বিটিআরসি প্রধানকে জানান।
তবে বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের বাজারে যদি কোনো পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা হয় তবে অপারেটররা যেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে যথাযথ অনুমোদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করেন।
এদিকে ওই বৈঠকের আগে এবং পরে বিটিআরসিতে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হয়।
যেখানে বিটিআরসি আশংকা করছে রবি-জিপি একীভূকিরণ না হয়ে আলাদা আলাদা ব্যবসা করলেও তাদের মূল কোম্পানি যেহেতু একই হবে সে কারণে তাদের মধ্যে এখন বাড়তি সখ্য হবে এবং তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের পক্ষে কঠিন হবে।
জানা গেছে, অল্প সময়ের মধ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং সরকারের উপরিমহলকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হবে।
টেলিনরের এশিয়া অংশ এবং অজিয়াটা একীভূত হলে টেলিনরের হাতে থাকবে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ার। আজিয়াটার দখলে থাকবে ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ার।
তবে সমস্ত আলোচনা-পর্যালোচনা এবং হিসেব নিকাশ শেষ হয়ে চুক্তি সম্পন্ন হতে বছরের তৃতীয় প্রান্তিক হয়ে যাবে বলে বলা হয়েছে।
এদিকে টেলিনরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, কোম্পানি দুটি একীভূত হলে এশিয়ার ৯টি দেশের টেলিকম ব্যবসা তাদের দখলে চলে যাবে।
টেলিনর এশিয়ায় তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও মিয়ানমারে। আজিয়াটার দখলে আছে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, নেপাল, শ্রীলংকা ও ইন্দোনেশিয়ার টেলিকম ব্যবসা।
এই ৯ দেশে তাদের মোট গ্রাহক আছে ৩০ কোটি।
যৌথ মালিকানার কোম্পানিটির হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে। একীভূত হলে তারা একসঙ্গে ৬০ হাজার মোবাইল টাওয়ার পরিচালনা করবে।