২০২০ সালে ৩ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা মুনাফা করেছে গ্রামীণফোন

করোনার বছর ২০২০ সালে ৩ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা মুনাফা করেছে গ্রামীণফোন। বছরটিতে কোম্পানিটির আয় ছিলো ১৩ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা।

২০২০ সালে ২৬ লাখ নতুন গ্রাহক নিয়ে আগের বছরের তুলনায় ইন্টারনেট হতে আয় বেড়েছে ১৪ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে ৬০ দশমিক ৬ শতাংশ। নতুন গ্রাহক বৃদ্ধিও আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।

সবশেষ প্রান্তিকের হিসেবে অপারেটরটির ৭ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহক এখন। এর মধ্যে ৪ কোটি ১৩ লাখ বা ৫২ দশমিক ২ শতাংশই ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, ২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ১৪ হাজারের বেশি নেটওয়ার্ক সাইটকে ফোরজিতে রুপান্তর করেছে। এছাড়া গ্রাহক পর্যায়ে ফোরজির ব্যবহারে ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। ১ কোটি ৯৮ লাখ নতুন গ্রাহক ফোরজিতে যোগ দিয়েছে ।

‘চতুর্থ প্রান্তিকে অর্থনৈতিক গতি প্রত্যাশার চেয়ে কম হওয়ায় গ্রামীণফোনের কোভিড-১৯ মহামারীর কঠিন চ্যালেঞ্জের বছরটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সার্বিকভাবে প্রভাব ফেলেছে। তবে এ সময়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও আলোচনার মাধ্যমে বেশ কিছু রেগুলেটরি বিষয় সমাধান করা গেছে’ বলেন তিনি।

গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, গ্রামীণফোন ২০২০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্বেও চতুর্থ প্রান্তিকে কার্যকরী ব্যবসায়িক পরিকল্পনার মাধ্যমে ১৪ লাখ নতুন গ্রাহক নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে। চতুর্থ প্রান্তিকে ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ মার্জিন নিয়ে কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৪ দশমিক ৫টাকা প্রতি শেয়ার চূড়ান্ত লভ্যাংশ সুপারিশ করা হয়েছে।

অপারেটরটি জানায়, গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের জন্য শেয়ার প্রতি মোট ২৭ দশমিক ৫টাকা লভ্যাংশ সুপারিশ করেন। এর ফলে মোট লভ্যাংশ দাড়িয়েছে পরিশোধিত মূলধনের ২৭৫ শতাংশ, যেটি ২০২০ সালের মোট কর পরবর্তী মুনাফার ৯৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ (১৩০% অর্ন্তবতী নগদ লভ্যাংশসহ)। রেকর্ড তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ যারা শেয়ারহোল্ডার থাকবেন তারা এই লভ্যাংশ পাবেন যা ১৯ এপ্রিল ২০২১ এ অনুষ্ঠতব্য ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভার দিন শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের উপর নির্ভরশীল।

চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ৩৯৫ কোটি টাকা ( লাইসেন্স ও লিজ ফি বাদে) নেটওয়ার্ক কাভারেজ উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছে। গ্রামীফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা এখন ১৬ হাজার ৫৪৭। প্রতিষ্ঠানটি কর, ভ্যাট, ডিউটি, ফিস, ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দ ফি বাবদ ৯ হাজার ৮২২ কোটি টাকা সরকারি কোষগারে জমা দিয়েছে।