সাশ্রয়ী দামে মিলবে দেশে তৈরি স্যামসাং পণ্য

বাংলাদেশে তৈরি বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড স্যামসাংয়ের প্রযুক্তিপণ্য সাশ্রয়ী দামে গ্রাহককে দিতে চান উদ্যোক্তারা।

বুধবার নরসিংদী জেলার শিবপুরে স্যামসাংয়ের এসি তৈরির প্লান্ট চালু করা হয়।

প্লান্টটির উদ্বোধন করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। অনুষ্ঠানে গ্রাহকদের সাশ্রয়ী দামে পণ্য দিতে আশাবাদ জানান দেশে স্যামস্যাংয়ের কারখানা স্থাপনকারী ফেয়ার গ্ৰুপের চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব ।

প্লান্ট উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, দুই বছরে স্যামসাং দেশের কারখানায় প্রায় ১৫ লাখ মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরি করেছে। আগামী বছর হতে এ কারখানায় ২৫ লাখ মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরি করা হবে। আর ওই বছর হতে বাংলাদেশে আর কোনো স্যামসাং হ্যান্ডসেট আমদানি হবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন করে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছেন উল্লেখ করে পলক বলেন, এর ফলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে। আইসিটি খাতে সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার রফতানি করে এক বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

রুহুল আলম আল মাহবুব জানান, বাংলাদেশের ভোক্তাদের সাধ এবং সাধ্যের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে আমরা দেশে স্যামসাং এয়ার কন্ডিশনার তৈরি শুরু করা হয়েছে। এই কারখানা থেকে উৎপাদিত স্যামসাং এয়ার কন্ডিশনার সাশ্র্রয়ী মূল্যে দেশের জনগণ কিনতে পারবে। এছাড়া তাদের উৎপাদিত স্যামসাং মোবাইল ফোন, টিভি, ফ্রিজও সাশ্রয়ী মূল্য রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বলিষ্ঠ পরিচালনায় সমগ্র বাংলাদেশ এখন শতভাগ বিদ্যুতের আওতাধীন। বাংলাদেশের মানুষের ক্রমবর্ধমান ক্রয়ক্ষমতা ও বিদ্যুতের সহজলভ্যতার কারণে দেশে মোবাইলফোন, টিভি, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনারসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির ব্যবহার বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ভোক্তা সাধারণের মানসম্পন্ন পণ্যের চাহিদা পূরণে তারা স্যামসাং মোবাইল ফোন, টিভি, ফ্রিজ কারখানার পাশাপাশি স্যামসাং এয়ার কন্ডিশনার তৈরি শুরু করেছে, যা দেশে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে, তেমনই দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল।

তিনি টেকশহরডটকমকে বলেন, মানুষের কাছে স্বচ্ছন্দ্যে ও সাশ্রয়ী দামে স্যামসাংয়ের টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল ফোন, ওভেনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য পৌঁছে দিতে তারাও কাজ করছেন।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে ইভ্যালিতে এক্সক্লুসিভভাবে স্যামসাংয়ের হালনাগাদ নতুন মডেলের হ্যান্ডসেটগুলো পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষ ইভ্যালি প্লার্টফর্মের মাধ্যমে তা কিনতে পারছে।

‘আমাদের পরিকল্পনা স্যামস্যাংয়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ডিভাইসগুলো মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে তুলে দেয়া। এতে ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল সব সেবা মানুষ হাতের ডিভাইসটি দিয়েই পেয়ে যাবে’ বলছিলেন তিনি।

রাসেল বলেন, সরকার দেশে ফাইভজি চালুর পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলছে। ফাইভজি সেবা নিতে হলে মানুষের কাছে ফাইভজি এনাবল ডিভাইস প্রয়োজন হবে। স্যামস্যাংয়ের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফাইভজি হ্যান্ডসেটগুলো ইভ্যালি মানুষের জন্য এমনভাবে সাশ্রয়ী করে দেবে, যেনো সবাই ফাইভজি সেবার জন্য এই ডিভাইস কিনতে পারে।

অনুষ্ঠানে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এইচ ই লি জ্যাং কেয়ান, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশের নব নিযুক্ত বাবস্থাপনা পরিচালক হয়্যানসাং উ, সাবেক বাবস্থাপনা পরিচালক স্যাংওয়ান ইউন ও ডিরেক্টর মুতাসিম দাইয়ান উপস্থিত ছিলেন।