ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শিপ্রার মামলা নেয়নি পুলিশ

মেজর সিনহা হত্যার পর তার সহযোগী আলোচিত শিপ্রা দেবনাথের ব্যক্তিগত ছবি ফেসবুকে পোস্টকারী পুলিশের দুই দেড়শ থেকে ২শ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শিপ্রার দেয়া মামলা নেয়নি কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সাড়ে ১১টায় শিপ্রা তার আইনজীবি ও সহকর্মীদের নিয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করতে যান। পুলিশ তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে মামলা না নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান শিপ্রার আইনজীবি।

শিপ্রার লিখিত অভিযোগে যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন তারা হলেন- সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ও পিবিআইর মিজানুর রহমান শেলি।

শিপ্রার অভিযোগ তার ছবি এডিট করে দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাদের আইডির মাধ্যমে ছড়িয়ে মানহানি করেছে।

সদর থানার ওসি পরামর্শ দেন- শিপ্রার বর্তমান অবস্থান যেহেতু (রিসোর্ট) রামু এলাকায় তাই রামু থানায় মামলা করতে।

শিপ্রার অভিযোগ, ‘মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর রাতে এসে আমাদের কটেজ থেকে পুলিশ আমাদের দুটি মনিটর, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ক্যামেরা, লেন্স, তিনটি হার্ডড্রাইভ এবং আমাদের ফোন ডিভাইস সব নিয়ে যায়। জব্দ তালিকায় যার কোনোটির কোনো উল্লেখ নেই। আমি জানি না, এখন কীভাবে বা কার কাছে সেসব ফেরত চাইব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পার্সোনাল প্রোফাইল ও ডিভাইস থেকে বিভিন্ন ছবি চুরি করে কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের দায়িত্বশীল অফিসাররাই ফেসবুক ও সামাজিকমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আমার নামে খোলা হয়েছে ফেক ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম আইডি। আমার ব্যক্তিজীবনকে যারা অসহনীয় করে তুলেছেন বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও তৈরির মাধ্যমে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমি তথ্য প্রযুক্তির ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব, কথা দিলাম।’

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান গত ১৪ আগস্ট শিপ্রার ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তার নির্দোষ হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এরকম আরও ছবি আসার ব্যাপারেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের এসপি মিজানুর রহমান শেলিও অনুরূপ পোস্ট দিয়েছেন। শিপ্রার কিছু ছবি পোস্ট করে তিনি তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার যথার্থতার পক্ষে নিজের অবস্থানের কথা ফেসবুকে তুলে ধরেছেন। এই পোস্টগুলোতে যেসব মন্তব্য এসেছে তার অনেকগুলোই ছিল শিপ্রার জন্য অবমাননাকর। অধীনস্থ কিছু পুলিশ কর্মকর্তাকেও এসপির পক্ষে মন্তব্য করতে দেখা গেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত কিছু ফেসবুক গ্রুপ যেমন: ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’, ‘স্যালুট টু বিডি পুলিশ’ এরকম কিছু গ্রুপেও ছবিগুলো পোস্ট করা হয়েছে।