শৈশবের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা জানালেন সেলিনা জেটলি

কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। এ ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করছেন সবাই। যা পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ ও কর্ণাটকসহ অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। এ আন্দোলনে অন্য সবার মতোই অংশ নিয়েছেন টালিউড তারকারাও।

টালিউড ইন্ডাস্ট্রি ছাড়াও সেই রেশ ছুঁয়েছে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি। জানালেন, অপরাধীরা যতই অপরাধ করুক না কেন, দিনশেষে নির্যাতি ব্যক্তিরই দোষ হয়। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জানালেন নিজের অতীত জীবনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী অভিনেত্রী সেলিনা সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, দোষ সবসময় নির্যাতিতার হয়। এই ছবিটি সেই সময়ের, যখন কিনা আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি। স্কুলের বাইরে সামনে থাকা কলেজের কিছু ছেলে দাঁড়িয়ে থাকত। আমি যখন রিকশায় করে ফিরতাম, তখন নানাভাবে তারা উত্যক্ত করত আমায়।

তিনি লিখেছেন, বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করত। সবসময় উপেক্ষা করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু একদিন আমি ওদের দিকে তাকাই। আর এ কারণে আমার দিকে পাথর ছোড়ে ওরা। বিষয়টি নিয়ে পরদিন শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ জানালে আমাকে জানান―দোষ আমার। কেননা, ঢিলেঢালা পোশাক না পরে আমি টাইট স্কুল ড্রেস পরি। মাথায় তেল দিয়ে বিনুনি বাঁধি না। এ ঘটনার পর দীর্ঘদিন বিষয়টি নিয়ে নিজেকে দোষারোপ করেছি আমি।

অভিনেত্রী সেলিনা লিখেছেন, তখন আমি মনে মনে ভাবতাম, হয়তো আমারই ভুল। এদিকে আমাকে স্কুলে দিতে যেতেন আমার দাদু। তিনি ছিলেন একজন সাবেক কর্নেল। উত্যক্তকারীরা আমার দাদুকেও বাজে কথা বলত। আমার স্কুটি ভেঙে দিয়েছিল, আঘাতও করেছিল। কিন্তু আশপাশে থাকা কেউ কিছু বলেনি তাদের। প্রতিবাদও করেনি তারা।

সবশেষ এ বলি তারকা লিখেছেন, তবে এবার সময় হয়েছে। নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য উঠে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হবে। সময় হয়েছে বলার যে, আমাদের দোষ নয়। আর পোস্টের শেষে হ্যাশট্যাগ দিয়ে সেলিনা জেটলি লিখেছেন, চিকিৎসকের মৃত্যু, আরজি কর, নারী অধিকার।