সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার শিল্পনগরী ইসলামপুরে ইউনিয়নের লবণঘাট এলাকায় সরকারি খালের পাড় দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খালের পাড় দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকলে ক্রমশ ছোট হয়ে খালটিতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হবে। নৌ চলাচল ও লবণ পরিবহনে পড়বে ভাটা ও ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর লবণঘাটের খালটির দৈর্ঘ্য সাড়ে ২শ মিটার। দীর্ঘ সময় ধরে পন্য পরিবহন ও যাতায়াতে এই খালটি ব্যবহার করতেন এলাকাবাসী। অনেক সময় যাবত খালটি খনন না হওয়ায় এখন লবণ পরিবহন কাজে ছোট বড় বোট চলাচলে চরম ব্যবহৃত হচ্ছে।
সম্প্রতি শাহ্ মজিদিয়া লবণ মিলের সামনে খালের পাড়ে রাতারাতি দোকান নির্মাণ করছে ইউনিয়নের ধর্মেরছড়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম। তার বিরুদ্ধে ঈদগাঁও থানায় উক্ত মিলের মালিক ছলিম উল্লাহ কাদেরী বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ফলে ঈদগাঁও থানা পুলিশ এ অবৈধ স্থাপনা কাজ বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আবদু রহিম স্থায়ীভাবে টিনের ছালা দিয়ে স্থাপনা নির্মানের কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই খাল এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। খালের পাড় দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকলে খাল ও খালের পাড় ক্রমশ ছোট হয়ে স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হবে বলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাছির উদ্দীন কায়সার বলেন, উপজেলার ইসলামপুর শিল্প এলাকার নৌ পরিবহন, লবণ পরিবহন ও পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ এ খালটি। দখলের কারণে এটি অনেকটাই ছোট হয়ে এসেছে। ফলে রাস্তার পাশে খালের পাড় দখল হলে চলাচল ব্যবস্থা চরম ব্যাহত হবে। বিষয়টি আমি ইউএনও মহোদয়কে বলছি, তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আশরফ আলী ও দেলোয়ার হোসেন বলেন, খালের বাঁধঘাট এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দখল করে ইতোপূর্বে টংঘর দোকান, অফিস স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। সুযোগ বুঝে স্থানীয় সুবিধাবাদী লোকজন ব্যক্তি স্বার্থে এসব স্থাপনা নির্মাণ করছেন। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না প্রশাসন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবদু রহিম বলেন, খালের সঙ্গেই আমার রেকর্ডীয় জমি আর এটি সিকিস্তি জায়গা, আমার স্থাপনার কিছু অংশ খালের মধ্যে সামান্য পড়তে পারে। স্থানীয় প্রশাসন কাজ করতে নিষেধ করায় আপাতত কাজ বন্ধ রেখেছি।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চকমা বলেন, ঘাট এলাকায় এক ব্যক্তির বিরূদ্ধে খালের জমি দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ পেয়েছি। নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। খালের পাড়ের মধ্যে যদি ঘর নির্মাণ হয়ে থাকে তা অবশ্যই ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।