মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই (রাঙামাটি)। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই কাপ্তাইয়ের ২২টি ভোটকেন্দ্রে রবিবার(৭ জানায়ারী) সকাল ৮টা থেকে টানা ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ভোট গণনা কার্যক্রম চলছে। উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের পাশাপাশি নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের তৈয়ুবিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৮০ বছর বয়সী উদা খিয়াং নামে একজন ভোটার কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন। জীবনের শেষ বয়সে এসে ভোট দিতে পেরে তিনি আনন্দিত। সকাল ৯ টা ২০ মিনিটে কাপ্তাই বিএফআইডিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল মোটামুটি। সেখানে কথা হয় ৮৫ বছর বয়সী কাপ্তাই শিল্প এলাকার বাসিন্দা এনামুল হকের সাথে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। কাপ্তাই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে, কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র গিয়ে দেখা গেছে, এখানে পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটারের উপস্থিতি বেশী। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আশীষ কুমার আচার্য বলেন, কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহন চলছে। নৌকার প্রার্থী দীপংকর তালুকদার কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহন চলছে। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার বলেন, কাপ্তাইয়ের ২২টি ভোটকেন্দ্রে কাজ করছেন ২৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১৩১জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২৬২জন পোলিং অফিসার। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্র বলছে, চুড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী কাপ্তাইয়ে মোট ভোটার ৪৮ হাজার ৮৭৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২৫ হাজার ৬৯৪ জন এবং মহিলা ভোটার ২৩ হাজার ১৮১ জন। কাপ্তাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুঃ সাইফুল ইসলাম, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আনছারুল হক এবং কাপ্তাই থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, কোন রকম সহিংসতা ছাড়া উৎসব মুখর পরিবেশে কাপ্তাইয়ে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। কাপ্তাই উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে কাপ্তাই উপজেলায় ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজ করেছেন। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে সেনাবাহিনী এবং বিজিবির সদস্যরা মাঠে কাজ করেছেন। পাশাপাশি পুলিশের টহল দল ও সার্বক্ষনিক মাঠে টহল দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রদেয় ভোটের ব্যালট আসতে শুরু করেছে। সব কেন্দ্রের সংগ্রহিত ব্যালট এসে গেলেই উপজেলার ২২ কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে চুড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যাবে।
