থ্রেডসে ৫ দিনেই ১০ কোটি সাইন আপ

উদ্বোধনের পাঁচ দিনের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপ থ্রেডস-এ ১০ কোটি ব্যবহারকারী সাইন আপ করেছে। সোমবার (১০ জুলাই) সকালে সাইন আপের এই মাইলফলক অর্জন করে অ্যাপটি। এর মধ্যদিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাপ হয়ে উঠেছে এটি।

ইলন মাস্কের মাইক্রব্লগিং সাইট টুইটারকে টেক্কা দিতে থ্রেডস অ্যাপটি এনেছেন মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ। গত বুধবার (৫ জুলাই) চালু হওয়া এই অ্যাপে প্রথম ৭ ঘণ্টায় ১ কোটি ব্যবহারকারী সাইন আপ করেছিলেন। এরপর যতই সময় গড়িয়েছে, ততই বাড়তে থাকে সাইন আপের গতি।

এএফপির প্রতিবেদন মতে, পাঁচ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে থ্রেডসে ১০ কোটি সাইন আপ সম্পন্ন হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে সাইন আপ হয়েছে ২ কোটি। এটা কোনো অ্যাপের ক্ষেত্রে একটা বড় রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটি ছিল চ্যাটজিপিটি’র দখলে। ১০ কোটি সাইন আপ অর্জনে অ্যাপটির সময় লেগেছিল দুই মাস।

এই বিষয়ে বেশ কয়েকবার আপডেট প্রকাশ করে মার্ক জাকারবার্গ বলেন, এই বৃদ্ধির হার ‘আমাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে’। তিনি আরও জানান, উদ্বোধনের দুই ঘণ্টার মধ্যে এতে ২০ লাখ, সাত ঘণ্টায় এক কোটি ব্যবহারকারী যোগ দেন।

জাকারবার্গ থ্রেডস অ্যাপকে টুইটারের ‘বন্ধুসুলভ’ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাবি করেছেন। তবে অ্যাপটি বাজারে আনার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইলন মাস্কের টুইটার কিনে নেয়ার পর টুইটারের সাম্প্রতিক যে পরিবর্তনগুলো এসেছে, সেগুলো নিয়ে অনেক টুইটার ব্যবহারকারীই অসন্তুষ্ট। আর সেই সব ব্যবহারকারীকেই আকৃষ্ট করতে পারে থ্রেডস।

জাকারবার্গের নতুন এই সামাজিক মাধ্যমটি তার ব্যবহারকারীদের নিজেদের চিন্তাভাবনা ৫০০ অক্ষরের মধ্যে প্রকাশ করার সুযোগ দিচ্ছে। একই সঙ্গে অ্যাপটিকে টুইটারের মতো অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

থ্রেডস টুইটারকেও ছাড়িয়ে যাবে কনা, ‘এমন এক প্রশ্নের জবাবে জাকারবার্গ বলেন, সেটা হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগবে। তবে আমি মনে করি, ১০০ কোটির বেশি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা যাবে এমন একটি পাবলিক কনভারসেশন অ্যাপ থাকা উচিত। যা করার একটি সুযোগ পেয়েছে টুইটার। কিন্তু তারা সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। আশা করি, আমরা করব।’

প্রাথমিকভাবে যুক্তরাজ্যসহ শতাধিক দেশে এই অ্যাপটি ব্যবহার করা যাচ্ছে। তবে নিয়ন্ত্রণজনিত উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে এটা এখনও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশে ব্যবহার করা যাবে না।