কিং দ্বীপে আবারও ২৩০টি তিমি আটকা পড়েছে

অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া অঙ্গরাজ্যের কিং দ্বীপে ১৪টি তিমি মারা যাওয়ার এক দিন পর দ্বীপটিতে আবারও অন্তত ২৩০টি তিমি আটকা পড়েছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) আটকে পড়া তিমি সমুদ্রপাড়ে দেখতে পান স্থানীয়রা। দ্বীপে এভাবে তিমি আটকে পড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন পরিবেশবিদরা।

সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া অঙ্গরাজ্যের পশ্চিম উপকূলের সৈকতে একসঙ্গে ভেসে ওঠে দুই শতাধিক তিমি। পরে আটকে পড়া তিমিগুলো উদ্ধারে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে খবর দেন সেখানকার বাসিন্দারা।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তাসমানিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাচারাল রিসোর্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, সৈকতে তিমিগুলো আটকে পড়লেও এখনো বেঁচে আছে। তাদের সুস্থ রাখতে এবং গভীর সমুদ্রে ফিরিয়ে দিতে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীতে আত্মহত্যা বাড়ছে

এর আগে, সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তাসমানিয়ার কিং দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলে অন্তত ১৪টি মরা তিমি ভেসে ওঠে। মারা যাওয়া তিমিগুলো বয়সে কম ও পুরুষ প্রজাতির বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্পাম নামের এই তিমিগুলো ১৮ মিটার লম্বা ও ৪৫ টন পর্যন্ত ওজনের হতে পারে। এগুলো সাধারণত গভীর সমুদ্রে থাকতেই পছন্দ করে। তিমি ভেসে ওঠার কারণ জানতে কাজ শুরু করেছেন পরিবেশবিদরা। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) তাসমানিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ বিভাগ জানিয়েছে, তীরে ভেসে যাওয়ার সময় তিমিগুলো মারা গেছে।

পরিবেশবিদরা বলছেন, জোয়ারের পানিতে পথ ভুলে সৈকতে আসার পর পানি নামলেও তিমিগুলো সমুদ্রসৈকতে আটক পড়ে। এ ঘটনাকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও তাসমানিয়ার দ্বীপে তিমি আটকে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও পশ্চিম উপকূলে ৩৬০টি পাইলট তিমি আটকা পড়েছিল। এর মধ্যে ১১১টি তিমিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল।