শফিউল আলম, রাউজান: প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ইটভাটা। নদীর তীরে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটার কারণে মা মাছ ও জীববৈচিত্র হুমকির মুখে।ইটভাটার জন্য মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে হালদার বুকে জেগে ওঠা ছায়ার চর হালদার চর থেকে। আর মাটিগুলো নিয়ে যেতে ব্যবহার করা হচ্ছে যান্ত্রিক নৌযান।
হালদায় যান্ত্রিক নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইটভাটার মালিকরা তোয়াক্কা করছে না এসব। গত কয়েক বছরে যান্ত্রিক নৌযানের আঘাতে হালদা নদীর বিভিন্ন এলাকায় ৫১ টি ডলফিন মারা গেছে।হালদা নদীর তীরে রাউজান উপজেলা অংশে কোতায়ালী ঘোনার পাশে, পশ্চিম বিনাজুরী, পশ্চিম গুজরার কাসেম নগর, উরকিরচরের পশ্চিম আবুরখীল, সার্কদা, নোয়াপাড়ার মোকামীপাড়া ও কচুখাইন এবং হাটহাজারী উপজেলা অংশে মেখলে ১০টি ইটভাটা গড়ে ওঠে। এরমধ্যে মোকামীপাড়া এলাকায় ‘এ আলী’ নামের একটি ইটভাটা গতবছর পরিবেশ অধিদপ্তর গুড়িয়ে দেয়। পরিবেশ অধিদপ্তর গুড়িয়ে দেয়ার পর মোকামী পাড়ার ইট ভাটা পুনরায় চালু করেন।
বাকিগুলোর ৬টি বন্ধ করা হলেও উরকিরচরের সার্কদা এলাকায় ‘মেসার্স আজমীর অটো ব্রিকস’ ও পশ্চিম হালদা নদীর চর থেকে মাটি উত্তোলন করেই যান্ত্রিক নৌযান ভর্তি করে হালদা নদী দিয়ে ইট ভাটায় মাটি পরিবহন করছে। এছাড়া ও ইট ভাটার পাশে হালদা নদীর পাড়ের মাটি কেটে ইট ভাটায় ইট তৈয়ারী করছে ইটভাটার মালিকরা । ইট ভাটার মাটি পরিবহন করা ছাড়া ও ইট ভাটায় রাউজান উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, হালদা নদী থেকে বালু তোলা এবং ড্রেজার ও যান্ত্রিক নৌযানে পরিবহন করায় গতকাল দুজনকে ধরে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ইট ভাটায় ও যান্ত্রিক ন্যৌযানে মালামাল পরিবহন, চর কাটলে ইট ভাটার বিরুদ্বে অভিযান চালানো হবে।