‘বে ওয়ান’ চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে পুনরায় সমুদ্রযাত্রা শুরু করছে

পর্যটকবাহী জাহাজ ‘বে ওয়ান’ চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে পুনরায় সমুদ্রযাত্রা শুরু করছে।

জনপ্রতি ৪ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকায় চেয়ার, কেবিন ও ভিভিআইপি স্যুটে পর্যটকরা আকর্ষণীয় সব সেবা পাবেন।

এক ট্রিপে ১ হাজার ৮০০ পর্যটক নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে বে ওয়ানের।
গত ডিসেম্বরে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে বে ওয়ান চালু হলেও করোনা মহামারির কারণে গত মার্চে অপারেশন বন্ধ রাখা হয়। তবে নতুন উদ্যমে চালু হলেও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভাড়া ১৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। চাইলে সেন্টমার্টিনে জাহাজেই রাতযাপন করতে পারবেন পর্যটকেরা।

কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রশিদ এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, জাহাজটি আসা-যাওয়ায় ২৫ টন তেল খরচ হয়। একদিনের জ্বালানি খরচ ২১ লাখ টাকা। আমাদের কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নিয়মিত সেন্টমার্টিন রুটে যাতায়াত করছে।

আমাদের বে ওয়ান জাপান, সিঙ্গাপুরসহ বিদেশেও যেতে পারবে। আরও তিন বছর চলতে পারবে। জাহাজের কন্ডিশনের ওপর চলাচল নির্ভর করে। ক্লাসের ক্লিয়ারেন্স নিয়ে চালাতে হবে। নতুন জাহাজের মতো কন্ডিশন আমাদের বে ওয়ানের।

দেশের উন্নয়ন সরকার করে ১০ শতাংশ, বাকি ৯০ ভাগ বেসরকারি উদ্যোক্তারা করেন। সরকার অবকাঠামো করে। সরকার সহায়তা করলে আমরা বে ওয়ানের ১০ গুণ বড় জাহাজ এনে হাজিদের আনা নেওয়া করতে পারব। আগে একমাস লাগত হজে যেতে। এখন আট দিনে জেদ্দা পৌঁছাতে পারব। জাহাজে হাজিদের কষ্ট হবে না। বিমানের চেয়ে জাহাজে পরিসর বেশি। আমাদের সমুদ্রগামী পর্যটক জাহাজ বাড়লে পশ্চিমবঙ্গের অনেক পর্যটক আসবেন।

এশিয়ার মধ্যে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স সেরা ড্রেজার নির্মাণে। আমরা ড্রাইডক নির্মাণ করছি চট্টগ্রাম ড্রাইডকের পাঁচ গুণ বড়। ১ লাখ টনের জাহাজ মেরামত করতে পারব। তখন সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজ আসবে মেরামতে। আমাদের শ্রমিকদের মজুরি কম হওয়ায় আমরা জাহাজ নির্মাণ, মেরামতে বিশ্বের অন্য দেশের চেয়ে কমে কাজ পাব। আমরা দুইটি জেটি নির্মাণ করেছি স্ক্র্যাপ জাহাজ ভিড়ছে। আরও দুইটি কনটেইনার জেটি করছি।

তিনি বলেন, আমি আশাবাদী আমাদের জনসমুদ্র আমাদের সম্পদ। আমাদের মানুষ দক্ষ মেধাবি। হাজার হাজার মোবাইল মেকানিক হয়ে গেছে। লাখ লাখ গাড়ি আমাদের মেকানিকরা মেরামত করছে। এটা আমাদের কোয়ালিটি। জনগণ এ দেশকে এগিয়ে নেবে। আমাদের শ্রমিকরা বিদেশে যেকোনও কাজ করছে, বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। তাদের দক্ষ মেকানিক, মিস্ত্রি বানাতে হবে। ১ কোটি দক্ষ শ্রমিককে বিদেশে পাঠানো গেলে দেশ টাকায় সয়লাব হয়ে যাবে।

জানা গেছে, বে ওয়ান বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। শনিবার সেন্টমার্টিন থেকে ফিরবে। এরপর ডিসেম্বর থেকে শুক্র, শনি ও রোববার নতুন সূচিতে পুরোদমে পর্যটক নিয়ে জাহাজটি চলাচল করবে। টিকিট বিভিন্ন কাউন্টার ছাড়াও অনলাইনে পাওয়া যাবে।