একা হেঁটে যাওয়া পথচারীদের টার্গেট করে ওরা

নগরের বিভিন্ন এলাকায় একা হেঁটে যাওয়া পথচারীদের টার্গেট করে ছিনিয়ে নিচ্ছে টাকা ও মোবাইল। করোনা ভাইরাসের কারনে সবকিছু বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে সক্রিয় হয়েছে ছিনতাইকারী।

এসব ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঝামেলা এড়ানোর জন্য খুব কম ভুক্তভোগীই থানায় অভিযোগ করেন। এ কারনে আড়ালে থেকে যায় ছিনতাইয়ের ঘটনা।

ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন মো. শফিক নামে এক দুধ বিক্রেতা।

এ ঘটনায় পুলিশ তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার তিন ছিনতাইকারী হলো- মো. আকাশ (১৯), মো. জিয়াউর রহমান (১৯) ও মো. সোলায়মান প্রকাশ শাহেদ (১৮)।

গ্রেফতার তিনজনের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া টাকা ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দীন।

ওসি নেজাম উদ্দীন বলেন, ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম বলেন, করোনার সুযোগ নিয়ে ছিনতাইকারীরা সক্রিয় হয়েছে। আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। বিভিন্ন এলাকায় টহল বাড়িয়েছি।

মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম বলেন, সোমবার পটিয়া এলাকার শফিক নামে এক দুধ বিক্রেতা দুধ বিক্রি করে যাওয়ার পথে রাহাত্তারপুল ফুলকলি ফ্যাক্টরির সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন। তাকে ছুরি ধরে ৫ হাজার ৫৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। পরে তিনি থানায় অভিযোগ করলে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে ছিনতাই করা টাকা উদ্ধার হয়।

এর আগে সোমবার গণিবেকারি মোড় এলাকায় এক ব্যক্তি ছিনতাইয়ের শিকার হন বলে জানা যায়। তবে ওই ব্যক্তি থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।

নগরের চকবাজার, আন্দরকিল্লা, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, খতিবেরহাট এলাকায় ছিনতাইকারীরা সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে।

গত ১ এপ্রিল পাঁচলাইশ থানাধীন খতিবেরহাট মোড়ে দিনদুপুরে ছিনতাইয়ের শিকার হন মো. ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা। ছিনতাইকারীরা ইকবাল হোসেনের কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইকবাল হোসেন পাঁচলাইশ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু পুলিশ কোনো ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

অভিযোগ রয়েছে, সন্ত্রাসী এসরাল প্রকাশের আজরাইলের অনুসারীরা বহদ্দারহাট, খতিবেরহাট এলাকায় ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত।