৪৫ কেজি ওজনের মাইট্যা আলু

নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই প্রতিনিধি, নিউজচট্টগ্রাম::

মাটি খুঁড়ে ৪৫ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির মাটি আলু বের করলেন কাপ্তাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী। উপজেলার মিতিঙ্গাছড়িতে বাসবাসরত ডাঃ শাহ আলম বীর বিক্রমের ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী নিজ বাসায় প্রায় তিন বছর পূর্বে বাঁশ ঝাঁড়ে একটি মাটি আলুর গাছ রোপন করে। তিন বছর পর উক্ত মাটি আলুটি শাহাদাত হোসেন চৌধুরী তার স্ত্রী ও ছেলে তিনজন মিলে প্রায় আড়াই দিন মাটির গর্ত খুঁড়ে বিশাল আকৃতির আলুটি বের করতে সক্ষম হয়। শতকষ্ট করে আলুটি বের করার পর তা দেখে সকলেই অবাক হয়ে যায়। পরিবারের সকলে এ আলুটি ওজন করে দেখেন এর ওজন প্রায় ৪৫ কেজি। আলুটি ফেইসবুকে দেওয়ার পর ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। ফেইসবুকে দেখে ভোক্তা অধিকার মহাপরিচালক ও কাপ্তাই সাবেক নির্বাহী অফিসার বাবলু কুমার সাহা তা দেখে আবাক হয়ে যান।তিনি এত বড় আলু জীবনে দেখেনি বলে জানান। নোয়াখালীর এডিসি ও কাপ্তাইয়ের সাবেক নির্বাহী অফিসার তারেকুল আলম বিশাল আকৃতির আলু দেখে তিনিও এমন মন্তব্য করেন। বিভিন্ন জেলার ভাষায় এই আলুকে বিভিন্ন ভাবে বলে থাকে। কেউ এটাকে লতা আলু,মাইট্যা আলু,পেস্তা আলু ,পাড়া আলু বলে থাকে। তবে এদেশের চেয়েও আফ্রিকার লোকাদের কাছে এই আলু সব চেয়ে প্রিয় খাবার জানা গেছে। আবার অনেকেই এই আলুর ভাগ চেয়ে ফেইসবুকে কমেন্টও করেন। এদিকে, ষাট উর্ধ্বো গোলাম মাওলা এত বড় আলু জীবনে দেখেনি বলে মন্তব্য করেন। কাপ্তাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, এই আলু তিনি তিন বছর পূর্বে নিজ বাসায় বাঁশ ঝাঁড়ের নিকট ছোট আকৃতির সাইজে বীজরোপন করে রেখে ছিলেন। তিনি তিন বছর পর সোমবার (১৯ এপ্রিল) আলুটি পরিবারের তিনজন মিলে আড়াই দিন চেস্টা করে মাটি খুঁড়ে উঠাতে সক্ষম হয়। তিনি এত বড় বিশাল মাইট্যা আলু দেখে অবাক হয়ে যান বলে মন্তব্য করেন। তিনি এও বলেন,এত বড় আলু আর তার জীবনে দেখেননি। আলুটি তিনি সখে বসে ফেইসবুকে দেওয়ার পর স্থানীয় অনেক লোকজন দেখতে আসে এবং বিভিন্ন বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজন ফোন করে খবর নেয়। জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন,আলুটি নিজের জন্য কিছু,আত্মীয়-স্বজনকে কিছু দিয়ে বাকিগুলো পাড়া প্রতিবেশীকে দিবেন।