বাড়তি ভাড়া নিয়ে যাত্রী-হেলপার বাগবিতণ্ডা

তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে গণপরিবহনের ভাড়া। সরকার নতুন ভাড়া নির্ধারণ করলেও বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে নগরের গণপরিবহনগুলোতে।

এতে যাত্রী-হেলপার দুইপক্ষের মধ্যে প্রায়ই ঘটছে বাগবিতণ্ডা।
সোমবার (৮ আগস্ট) নগরের বিভিন্ন গণপরিবহনে উঠে দেখা যায় এমন চিত্র।

যাত্রীদের দাবি, সরকার নির্ধারিত যে ভাড়া রয়েছে তার চেয়ে বেশি ভাড়া নিচ্ছে গণপরিবহনগুলো। এমনকি সিএনজিচালিত যানবাহনগুলোও এ সুযোগের ফায়দা লুটছে। এমন অবস্থায় সরকারের পর্যাপ্ত মনিটরিং টিম নেই বলেও দাবি করেন তারা।

বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে রফিকুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবহনের ভাড়া বেড়ে গেছে। যে পথ পাড়ি দিতে আগে ৫-৭ টাকা লাগতো, সে পথে এখন ১০-১৫ টাকা খরচ হচ্ছে। মাসিক পরিকল্পনা করেও কিছু করা যাচ্ছে না। ভাড়া বাবদই যদি বাড়তি খরচ করতে হয়, সংসারের অন্য খরচগুলো সামাল দিবো কিভাবে?

নাছরিন আখতার নামে এক পোশাক কারখানার শ্রমিক বলেন, আমরা সীমিত আয় করি। তা দিয়েই সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। এখন নতুন করে জুটেছে বাড়তি ভাড়ার বোঝা। যে টাকা আয় করি তা তো পথেই শেষ হয়ে যাবে। সংসার চালাবো কি করে? খাবো-ই বা কি?

ভাড়া নৈরাজ্যের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, কোনোভাবেই বাড়তি ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই। গাড়িগুলোতে ডিজেল ও গ্যাসচালিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি তা না মেনে চলে, তাহলে প্রশাসন চাইলেই যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা পরিবহন শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে সচেতন করার চেষ্টা করছি।

বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। কোনো পরিবহন যদি বাড়তি ভাড়া আদায় করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে চট্টগ্রাম নগরীতে সিটি বাস সার্ভিসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে সোমবার (৮ আগস্ট) বিআরটিএ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে।