কর্ণফুলীতে ফাইল না ছাড়ায় এলজিইডির হিসাব রক্ষককে মারধর

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ফাইল না ছাড়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) অফিস কক্ষে ভাঙচুর ও হিসাব রক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম নিশির বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের এলজিইডি অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

এলজিইডি অফিসের হিসাব রক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ২০২৯-২০ অর্থবছরের ঠিকাদারদের ১০ শতাংশ জামানত ফেরতের জন্য কয়েকটি ফাইল প্রক্রিয়াধীন ছিল। তার মধ্যে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম নিশির একটি ফাইল রয়েছে। তিনি অফিসে এসে ফাইলটির খবর জানতে চাইলে আমি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে এলে ফাইল প্রসেসিং করে ছাড়া হবে বলে জানায়। এই দিন উপজেলা প্রকৌশলীর শাশুড়ির অসুস্থতার কারণে তিনি অফিসে আসেননি।

কিছুক্ষণ পরে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তার স্বামীসহ লোকজন নিয়ে অফিসে ঢুকে ফাইলটি কেন ছাড়া হয়নি এই বলে আমাকে মারধর ও অফিসের কম্পিউটার ভাঙচুর করেন। ঘটনার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি কর্ণফুলী থানার ওসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি আমি।

তবে অফিস ভাঙচুর ও হিসাব রক্ষককে মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম নিশি বলেন, ফাইলটি ছাড়ার জন্য আমার কাছ থেকে ঘুষ চেয়েছেন এজন্য হিসাব রক্ষকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ফাইল মানে আমার কাজ। কাজ না দেখে ফাইল ছাড়া সম্ভব না। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আমার কথা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ফাইলটি ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলাম। এরপরও আমার অনুপস্থিতিতে অপ্রীতিকর একটি ঘটনা ঘটালেন। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নোমান হোসেনের মুঠোফোনে ফোন করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।