দেশের এ কঠিন পরিস্থিতিতে যথই আপন হোক, মৃত্যুর পর পরই পাল্টে যায় দৃশ্যপট, করোনা আতঙ্কে সবাই যেন দূরে সরে থাকছে। দাফন-কাফনের জন্য অনেকের কাছে ধর্ণা দেওয়া হলেও পাওয়া যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত পাশে এসে দাঁড়ালো দেশের আধ্যাত্মিক সংগঠন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। তাদেরকে অবহিত করা হলে লাশবহন থেকে শুরু করে দাফন-কাফন পর্যন্ত সব কাজ শেষ করেন। মৃত ব্যক্তির পরম আত্মীয়রূপে, এভাবে গ্রামগঞ্জ, শহর বন্দর, দেশব্যাপী এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যার কারণে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীর তথা স্বজনদের আস্থা ও নিশ্চিত ভরসার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। এছাড়াও বর্তমানে যারা এ কঠিন পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সকল মানবতার সেবার দ্রæতদেরকে নেক কর্মকে আল্লাহপাক কবুল করুন। গত ১২ জুন, শুক্রবার, শান্তির হাট কুসুমপুরা রহিম মাঝি জামে মসজিদে গাউসিয়া কমিটি পশ্চিম পটিয়া শাখার করোনায় মৃত্যু বরণকারীদের গোসল, দাফন ও কাফনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্স’র প্রধান ও গাউসিয়া কমিটি চট্টগ্রাম মহানগরীর সদস্য সচিব আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন পাপ্পু। প্রধানবক্তা ছিলেন গাউসিয়া কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মাস্টার। বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা গাউসিয়া কমিটি অর্থ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, আলহাজ্ব মাওলানা ইদ্রিচ আলকাদেরী, আল-হাসনাইন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের মহাসচিব আলমগীর ইসলাম বঈদী, উপস্থিত ছিলেন এএসএফ’র সদস্য সাবের আহমদ, মাহফুজুর রহমান, মহিউদ্দিন, আবসার, বাবুল হক, হামিদুর রহমান, শফিউল আলম, ইয়াছিন, আনিসুল হক, আবু বক্কর প্রমুখ। শেষে মহামারী করোনায় মৃত্যুবরণকারীর দাফন-কাফনের জন্য হাসনাইন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে গাউসিয়া কমিটি পশ্চিম পটিয়া শাখার টিমকে সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়।