কাপ্তাইয়ে পর্যাপ্ত ত্রান থাকলেও নেই প্যাকিং ও পরিবহনে পর্যাপ্ত বরাদ্দ

নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই

দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের পর থেকে কর্মহীন হয়ে পড়া অসচ্ছল অসহায় পরিবারের জন্য কাপ্তাই উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরুপ এপর্যন্ত ২শ’ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য, শিশুখাদ্যের জন্য ৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা, গুড়ো দুধের জন্য ৩১ হাজার এবং নগদ ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যে জনপ্রতিনিধিরা সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতের লক্ষ্যে হতদরিদ্রের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছে। কাপ্তাইয়ের প্রতি ইউনিয়নের দূর্গম প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং গ্রাম পুলিশরা ইউনিয়ন পরিষদের খরচে পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়া এসব ত্রানসামগ্রী নিজেদের খরচে উপজেলা হতে উত্তোলন করে পরিবহন যোগে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে প্যাকেটিং করেছেন তারা।প্যাকেটিং ও পরিবহন বাবদ প্রতিটি ইউনিয়নে লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। অথচ এখাতে উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে সর্বমোট ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়। ফলে প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই অপ্রতুল বরাদ্দে। ৪ নং কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান, তার ইউনিয়নের দূর্গম হরিনছড়া, ভাইজ্যাতলি, বন্ধুক ভাংগাতে সড়ক পথ নেই, যেখানে নৌ পথে দফায় দফায় সরকারি ত্রান তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। প্রতিবার পরিবহন খরচ হয়েছে হাজার টাকা। ২ নং রাইখালী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এনামুল হক, ৩ নং চিৎমরম ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চিংথোয়াই মারমা জানান, তাদের ইউনিয়নে প্রায়ই ওয়ার্ডই দূর্গম। এসব এলাকায় সরকারি সহায়তা পৌঁছানো ব্যয়সাধ্য। ফলে প্যাকেটিং থেকে পরিবহন সবখাতে তাদের যে টাকা সরকার প্রদান করেছেন সেইগুলো খুবই অপ্রতুল। একই অভিযোগ করেছেন ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী এবং ৫ নং ওয়াগ্গা ইউপি চেয়ারম্যান চিরন্জিত তনচংগ্যা। তারা জানান, এসব খাতে আরো বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, সরকারি ত্রান সহায়তা উপজেলা হতে উত্তোলন, পরিবহন এবং জনগণের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। তবে এসব ক্ষেত্রে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যে এই খাতে ৫ টি ইউনিয়নের অনুকুলে ৭০ হাজার টাকা প্রদান করা হলেও যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। আনুপাতিক হারে এই টাকা ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদে বন্টন করা হয়েছে এবং বরাদ্দ সাপেক্ষে এই ব্যয় মিটানো হবে বলে তিনি জানান। বিষয়টি রাংগামাটি জেলা প্রশাসককে অবহিত করবেন বলে ইউএনও জানান।