চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ৫ দিনের রিমাণ্ডে

পুলিশের ওপর গুলি ছুঁড়ে পালানোর ঘটনায় হওয়া মামলায় চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ওরফে বুড়ির নাতিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে পালানোর ঘটনায় বায়েজিদ বোস্তামি থানায় হওয়া মামলায় সাজ্জাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

ছোট সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানার হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাবল মার্ডার, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ১৫টিরও বেশি মামলা রয়েছে।

গত বছরের ৪ ডিসেম্বর নগরের অক্সিজেন এলাকায় সাজ্জাদকে ধরতে অভিযানে যায় বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ। ওই সময় গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যান তিনি। এতে পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন। পরে একই থানার ওসিকে ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দেন তিনি। এরপর চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ।

গত ১৫ মার্চ দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি থেকে সাজ্জাদকে পুলিশে দেওয়া হয়।

সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। গত ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেট কারকে ধাওয়া দিয়ে গুলি করে ঝাঁঝরা করা হয়। এতে দুই আরোহী নিহত হন। ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন ও সাজ্জাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের ধারণা। সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়ার জেরে তার অনুসারীরা সরোয়ারের সহযোগীদের ওপর হামলা চালান বলে ধারণা করছে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহত বখতিয়ার হোসেনের মা ফিরোজা বেগম বাকলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় সাজ্জাদ, তার স্ত্রী শারমিন তামান্নাসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। মামলার অন্য পাঁচ আসামি হলেন- মো. হাছান, মোবারক হোসেন, মো. খোরশেদ, মো. রায়হান ও মো. বোরহান। তারা সাজ্জাদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।