কক্সবাজারের চকরিয়ায় টাকার জাল নোট তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। এ সময় ঘটনাস্থল বেশ কিছু সরঞ্জামাদিসহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান, র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও সহকারী পুলিশ সুপার আ. ম. ফারুক।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের গর্জনতলী এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মো. সুলতান (৫৪) এবং ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সবুজ ছায়া এলাকার মৃত মীর আহমেদের ছেলে জাফর আলম (৩৩)।
আ. ম. ফারুক বলেন, সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন এলাকায় কারখানা স্থাপন করে সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা জাল টাকা তৈরির খবর পায় র্যাব। মঙ্গলবার বিকেলে চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের গর্জনতলী এলাকায় গোপন কারখানা স্থাপন করে চক্রটির কতিপয় লোকজন জাল টাকার নোট তৈরির খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক কারখানাটি ঘিরে ফেললে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩/৪ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে দুই জনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় জাল নোট তৈরির ১০০০ হাজার টাকা মানের ২৭টি বান্ডিল ও ৫০০ টাকা মানের ৩৩টি বান্ডিল, জাল নোট তৈরির ১টি যন্ত্র এবং ৫০টি লেমেনিটিং পেপার।
র্যাবের এ গণমাধ্যম কর্মকর্তা বলেন, আটকরা চিহ্নিত অপরাধী চক্রের সদস্য। আটকদের মধ্যে মো. সুলতানের বিরুদ্ধে জাল নোট তৈরির অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে চকরিয়া থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান সহকারী পুলিশ সুপার আ. ম. ফারুক।