চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
মঙ্গলবার(১৮ মার্চ) দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটার খোয়াজনগর ৪ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দুয়ার গোষ্ঠী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. তাহের।
কিশোরীকে ধর্ষণের খবর পেয়ে থানা ওসির নির্দেশে কর্ণফুলী থানা পুলিশের এসআই মো. কামরুজ্জামান ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর আগেই স্থানীয় লোকজন বাড়িটি ঘিরে ধর্ষক নাছির উদ্দীন মুন্নাকে (২২) আটক করে।
স্থানীয় সূত্রে ও তথ্যে জানা যায়, কিশোরীর বয়স ১৬ বছর ৪ মাস ১৮ দিন। ধর্ষক নাছির উদ্দীন মুন্নার বয়স ২২ বছর ১ মাস ৪ দিন।
অন্যদিকে ধর্ষকের স্থায়ী ঠিকানা নোয়াখালী জেলায় হলেও তার পরিচয়পত্রে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন পশ্চিম ষোলশহর হামজারবাগ কলোনীর ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে। কিশোর ও যুবকের পরিচয়পত্রে একই ঠিকানা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত আনুমানিক ১টার দিকে কিশোরীর পরিবারের কেউ বাসায় ছিল না। কিশোরীর মা বড় বোনের বাসায় গিয়েছিলেন। এ সুযোগে যুবক বাড়িতে ঢোকেন।
স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেন। তবে অন্য একটি সূত্র দাবি করেছে, কিশোরী ও যুবকের মধ্যে পূর্বপরিচয় থাকতে পারে এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় নানা গুজবও ছড়িয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবকের পরিবারকে খবর দিলে তারা আসতে অস্বীকৃতি জানায়। কিশোরীর বয়স কম হওয়ায় এবং নানা জটিলতা বিবেচনায় স্থানীয় জনতা যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ইউপি সদস্য মো. তাহের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক যুবককে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। কিশোরীও বর্তমানে থানায় রয়েছে। আমরা বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় এগিয়ে নেবো।’