মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদের মোহনা সংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় পৌঁছালে ৩২ মেট্রিক টন সেগুন ও গর্জন কাঠসহ একটি ট্রলার দুইদিন ধরে আটকে রেখেছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি (এএ)।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে মিয়ানমারের আনাডং থেকে কাঠভর্তি একটি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে সোমবার সকালে ট্রলারটি আটক করা হয়।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ট্রলারটি আরাকান আর্মির হাতে আটক রয়েছে।
কাঠের মালিক আব্দুল কাদের বলেন, ৩২ মেট্রিক টন গর্জন ও সেগুন কাঠ নিয়ে ট্রলারটি টেকনাফ বন্দরে আসার কথা থাকলেও নাইক্ষ্যংদিয়ায় পৌঁছালে অতিরিক্ত কাঠ থাকার কথা বলে তল্লাশি চালায় আরাকান আর্মি এবং পরে আটকে রাখে। তবে যাচাই-বাছাই করে ট্রলারটি ছেড়ে দেওয়া হবে বলে মাঝিরা আমাকে জানিয়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের ম্যানেজার সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, মিয়ানমারের আরাকান আর্মি যে ট্রলার আটকে রেখেছে, তা কাঠ আমদানিকারক আব্দুল কাদেরের কাছ থেকে জেনেছি। ট্রলার বন্দরে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আমদানিকারক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, একটি ঘটনা না কাটতেই আবার এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে যাবেন। সরকারের উচিত একটি স্থায়ী সমাধান করা। কারণ, এর আগে পণ্যবাহী বোট আটকের ঘটনায় এখনও ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্যবাহী বোট আসা বন্ধ রয়েছে। তার ওপর আবার এ ধরনের ঘটনা। এর ফলে স্থলবন্দর অচল হয়ে পড়বে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে কাঠবাহী একটি ট্রলার নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর চলছে।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি মিয়ানমারের ইয়াংগুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদীর মোহনায় আটক করা হয়েছিল পণ্যবাহী তিনটি কার্গো। এসব কার্গোতে ৫০ হাজার বস্তা শুঁটকি, সুপারি, কফিসহ বিভিন্ন মালামাল রয়েছে। এরমধ্যে গত ২০ জানুয়ারি দু’টি বোট ছেড়ে দিয়েছিল আরাকান আর্মি। সেখানে ২৭ হাজার ৭২২ বস্তা মালামাল ছিল। আরেকটি ১ ফেব্রুয়ারিতে ছেড়ে দেওয়া হয় । এরপর দশ দিনের মাথায় আবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তারই অংশ হিসেবে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে কোনো পণ্যবাহী বোট আসেনি।