মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই (রাঙামাটি): কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের কক্ষ ছাড়াও হাসপাতালের বাইরের এলাকাও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রশংসনীয় এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
হাসপাতাল সড়কে প্রবেশ করলেই নজরে পড়বে গাছে,গাছে ঝুলছে ময়লা ফেলার নিদিষ্ট প্লাস্টিকের ঝুড়ি। কোন রোগী বা দর্শনার্থী যেন যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে সেজন্য পরামর্শ সহ ঝুড়ি দেয়া হয়েছে। এরপর হাসপাতালে প্রবেশ করলে দেখা যাবে সব কিছু পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি করে রাখা আছে।
আলাপকালে দূর্গম হরিণছড়া থেকে রোগী নিয়ে আসা ছাইমা মারমা বলেন, এত সুন্দর ও পরিস্কার হাসপাতাল আমি আগে দেখেনি। কাপ্তাই শিল্প এলাকা থেকে আসা রমজান জানায়, এত পরিস্কার হাসপাতাল আমি কখনো দেখিনি। এই প্রথম এমন পরিচ্ছন্ন হাসপাতাল দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। হাসপাতালের স্টাফ মো.সেকান্দর হোসেন জানান, এটা একটা ও প্রশংসনীয় মহৎ উদ্যোগ। যেকোন রোগীর হাসপাতালের এমন দৃশ্য দেখলে ভাল লাগবে। এবিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রুইহলা অং মারমা জানান, কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর।
তারই প্রেক্ষিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সার্বক্ষণিক পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বিশেষ করে হাসপাতাল এলাকার ভিতরে এবং বাইরে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। যেখানে রোগী এবং রোগীর সাথে আসা স্বজনরা যেখানে-সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে পারবে। ওইসব ময়লা ফেলার স্থানগুলো চিহ্নিত করে নির্দেশিকা কার্ডও স্থাপন করা হয়েছে। কেননা একটি হাসপাতাল- রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবার বাতিঘর। হাসপাতাল পরিস্কার থাকলে মনটাও ভাল থাকে। মন ভাল থাকলে রোগ তাড়াতাড়ি ভাল হবে। ফলে হাসপাতাল সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বলেন, আমরা অনুরোধ জানাবো, সকলে মিলে যেনো হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলব।
