ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে পাত্তাই পেলো না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রোববার ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচে রেড ডেভিলদের ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে সিটিজেনরা। এই গোলে লজ্জার রেকর্ড হয়েছে ইউনাইটেডের।
ঘরের মাঠে ম্যাচের ২৬তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সফল স্পটকিকে সিটিকে লিড এনে দেয়া গোলটি করেন আর্লিং ব্রট হালান্দ। বিরতির পর ৪৯তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ম্যান সিটির এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। আর ৮০তম মিনিটে ৩-০ গোলের জয় নিশ্চিত করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন।
ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের হোম ম্যাচে সিটির কাছে ন্যূনতম ৩ গোল খেলো ইউনাইটেড। ২০১১ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যান সিটির কাছে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় রেড ডেভিলরা। ২০১৪ সালে ৩-০ ব্যবধানে হারে ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লীগে একই দলের বিপক্ষে ম্যানইউর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার এটি। লিভারপুলের বিপক্ষেও সমান সংখ্যক হারের নজির রয়েছে ম্যানইউর।
এই ম্যাচে কীর্তি হয়েছে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলারও।
স্প্যানিশ কোচের অধীনে ওল্ড ট্রাফোডে সপ্তম জয় পেলো ম্যান সিটি। একই দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড গড়লেন স্প্যানিশ কোচ। গার্দিওলার কোচিং ক্যারিয়ারে আর্সেনালের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৮ জয় পেয়েছেন।
প্রিমিয়ার লীগের চলতি মৌসুমে নিজেদের প্রথম দশ ম্যাচের ৫টিই হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। গত ৩৭ বছরে প্রথম ১০ ম্যাচে সর্বোচ্চ সংখ্যক হার এটি রেড ডেভিলদের। সবশেষ ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমের প্রথম ১০ ম্যাচে ৬টি হেরেছিল ম্যানইউ।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ১০ ম্যাচে ৮ জয় ও ২ হারে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে ম্যানচেস্টার সিটি। সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল। গোল পার্থক্যে এগিয়ে গানাররা। শীর্ষে থাকা টটেনহ্যাম হটস্পারের পয়েন্ট ২৬। দশ ম্যাচে ৫ জয় ও ৫ হারে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।