ইরান হামলায় যোগ দিতে পারে বৃটেন

শেষ মুহূর্তে ইরানে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ফিরে এলেও, ইরান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দেবে বৃটেন। বৃটেনে ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের প্রধান ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা দুই প্রার্থীর মধ্যে অন্যতম পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট রোববার রাতে এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলায় যোগ দেয়ার কথা বিবেচনা করবে বৃটেন। এমন সমর্থনের অনুরোধ যদি করা হয় তাহলে ‘কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে’ তা বিবেচনা করা হবে বলে তিনি নিশ্চয়তা দেন। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল। দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী পদে অপর প্রার্থী হলেন লন্ডনের সাবেক মেয়র, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন।

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভয়াবহ উত্তেজনার মধ্যেই গত সপ্তাহে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি মনুষ্যবিহীন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে ইরান। এরপর থেকেই পূর্ণাঙ্গ একটি যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে দুই দেশের মধ্যে। এরই মধ্যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট সিস্টেমে পূর্ণ হামলা চালিয়েছে পেন্টাগন।

একে বলা হচ্ছে পূর্ণমাত্রায় সাইবার হামলা। এর আগে মনুষ্যবিহীন ড্রোন ভূপাতিত করার কারণে ইরানে হামলা চালানো নির্দেশ দেন ট্রাম্প। কিন্তু এ হামলায় ‘১৫০ জন মানুষ’ মারা যেতে পারে বলে তিনি ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ আখ্যায়িত করে বিরত থাকেন শেষ মুহূর্তে। জানিয়ে দেন, ইরানে হামলা চালাতে তাড়াহুড়ো নেই।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে করা ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি গত বছর প্রত্যাহার করেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে ইরানের ওপর অবরোধ নতুন করে আরোপ করেন। সেই থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম থেকে চরম আকার ধারণ করছে। এ মাসে হরমুজ প্রণালীতে দুটি ট্যাংকারে হামলার জন্য ওয়াশিংটন দায়ী করেছে ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ডকে।