জামালখান ওয়ার্ডে অস্বচ্ছল মানুষের হাতেইফতার সামগ্রী তুলে দিলেন সিটি মেয়র

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে নগরীর জামাল খান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের উদ্যোগে ৪শতাধিক গরীব ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন অস্বচ্ছল মানুষের হাতে এসব ভোগ্য পণ্য তুলে দেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর প্রিয়া কমিউনিটি সেন্টার হলে এ বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন,নগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক চন্দন ধর,বাবুল রায় ও নারী নেত্রী রোকেয়া বেগম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি,মুক্তিযোদ্ধা মোমিনুল হক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাশেম চৌধুরী বাবুল,সাধারণ সম্পাদক মিথুন বড়–য়া, সাব্বির,মামুন,মানস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গত ৯ই মে জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রথম পর্যায়ে ৪শতাধিক অস্বচ্ছল মানুষের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন মানুষের জন্য মানুষ এমন চিন্তা চেতনায় সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। মানবাধিকার ও মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়াসে বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়ানো শৈবাল দাশ সুমন সমাজের দারিদ্র্যতা দূরীকরণ এবং সমাজকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। এটাই হচ্ছে একজন জনপ্রতিনিধির নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। সিটি মেয়র আরো বলেন পবিত্র রমজানে সবারই ইচ্ছে হয় নিত্য-নতুর সামগ্রী দিয়ে ইফতার করতে। কিন্তু নগরীর স্বল্প আয়ের লোকদের ভাগ্যে এই ধরণের নিত্য-নতুন সামগ্রী দিয়ে ইফতার জুটে না। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের এই উদ্যোগ স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও এর স্বস্তি আসবে। তিনি বলেন স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ৮০ শতাংশ মানুষ ছিল হতদরিদ্র। এখন এ হার ১২ শতাংশ। বিশেষ করে গত ১০ বছরে অতি দারিদ্র্যের হার দ্রুত কমে অর্ধেকে নেমেছে। তাই বিশ্ববাসী এখন এ দেশকে দারিদ্র্য বিমোচনের একটি মডেল বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।কারণ সারাবিশ্বের মধ্যে এ দেশেই দারিদ্র্য কমে যাওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। এই প্রসংগে মেয়র আরো বলেন দেশের দারিদ্র্য হার কমাতে সরকার বিভিন্ন কর্মসুচি গ্রহন করেছে। এর সুফল জনগণ পাচ্ছে। তবে বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে অতি দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা। বর্তমান সরকার যে সব কর্মসূচি নিয়েছে তা সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ওই লক্ষ্য পূরণ হবে বলে প্রত্যাশা করেন সিটি মেয়র।