আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া কাতার কেন্দ্রীয় কমিটির কাউন্সিল

*ফোরকান রেজা সভাপতি এবং হোসাইন সম্পাদক নির্বাচিত*
আনজুমানে রজভীয়া নূরীয়া কাতার কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি আলহাজ¦ কাজী মুহাম্মদ ফোরকান রেজা বলেন, যৌতুক ও মাদকবিরুধী আন্দোলনে আলেম সমাজের অহংকার আল্লামা নূরীর দ্বীনি দায়িত্ববোধ ও মানবিক মমত্ববোধ দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই। তাঁর মতো উলামা মাশায়েখরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে, নিজ নিজ দরবার ও খানকাহ থেকে এ ধরনের সামাজিক দায়িত্ব পালনে এগিয়ে গেলে যৌতুক-মাদকসহ সব ধরনের অপরাধ প্রবণতা থেকে আমরা রেহাই পেতাম। তিনি যৌতুক ও মাদকবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের বিকল্প নেই উল্লেখ করে বলেন, যৌতুকবিরোধী আইন থাকলেও আইনের কঠোর প্রয়োগ নেই। ফলে এই সামাজিক কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসা যাচ্ছে না। তিনি আল্লামা নূরীর এ ধরনের গণমুখী কাজে সকলের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন এবং দীর্ঘ এক যুগ ধরে দেশব্যাপী আন্দোলনে জন্য আল্লামা নূরীকে একুশে পদক কিংবা রাষ্ট্রীয় পুরুষ্কারে ভুষিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিশেষ দাবি জানান। ১৪ মে মঙ্গলবার বিকেলে কাতার নাসমা একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আনজুমানে রজভীয়া নূরীয়া কাতার কেন্দ্রীয় কাউন্সিল এবং “দারিদ্র বিমোচনে যাকাত অনন্য মাইল ফলক” শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ জে এম হোসাইন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ আবুল কালাম, মুহাম্মদ আবদুল মান্নান, মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, মুহাম্মদ জাহেদুল আলম, আবদুল্লাহ আল মামুন, মুহাম্মদ আজম খাঁন, হাফেজ মুহাম্মদ রিয়াজ রেজা, মুহাম্মদ করিম উল্লাহ, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ। কাউন্সিলে সর্বসম্মতিতে আলহাজ্ব কাজী মুহাম্মদ ফোরকান রেজাকে পুনরায় সভাপতি এবং এ জে এম হোসাইন চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যাকাত গরীবদের সাহায্য নয়, যাকাত গরীবের হক। আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের উপর নিসাব পরিমান সম্পদ থাকলে যাকাত ফরয করেছেন। সুতরাং প্রত্যেকের উচিত সম্পদের হিসাব করে প্রতিবছর যাকাত প্রদান করা। এর মাধ্যমে রয়েছে ইহকালীন শান্তি ও পরকালে মুক্তি।