গোটা বিশ্বেই তাদের ‘বেবি পাউডার’ বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’

জনসন অ্যান্ড জনসন বলেছে যে ২০২৩ সাল থেকে আর বেবি পাউডার বিক্রি করবে না তারা। সুরক্ষা ঝুঁকি এবং চাহিদা হ্রাসের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় ইতিমধ্যেই ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ এর বিক্রি বন্ধ রয়েছে। J&J একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে -একটি বিশ্বব্যাপী পোর্টফোলিও মূল্যায়নের অংশ হিসাবে, আমরা সমস্ত কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার রূপান্তর করার বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধির জন্য ব্যবসাকে সর্বোত্তম অবস্থানে রাখতে আমরা ক্রমাগত মূল্যায়ন করি এবং আমাদের পোর্টফোলিও অপ্টিমাইজ করি।এই রূপান্তরটি আমাদের পণ্য অফারগুলিকে সহজতর করতে, টেকসই করতে এবং আমাদের ভোক্তা, গ্রাহকদের এবং বিশ্বব্যাপী চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করবে। ” সংস্থার দাবি এর কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার ইতিমধ্যে অনেক দেশে বিক্রি হয়েছে। J&J উত্তর আমেরিকার ভোক্তাদের কাছ থেকে প্রায় ৩৮,০০০ মামলার ফলস্বরূপ বেশ কয়েকটি ভুল তথ্যকে দায়ী করেছে। ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডারকে নিয়ে? ওই পাউডারে অ্যাসবেস্টসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। অ্যাসবেস্টস শিশু শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর সংস্পর্শে এলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। বছর তিনেক আগে এই অভিযোগ ওঠার পর থেকে ক্রমেই বিতর্ক ঘনিয়েছে। যদিও সংস্থার দাবি অনেক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত যে এই পাউডার শিশুদের জন্য সুরক্ষিত।

J&J- এর দাবি – ”আমাদের কসমেটিক ট্যাল্কের নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। আমরা বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের কয়েক দশকের স্বাধীন বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের সাথে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছি যা নিশ্চিত করে যে ট্যাল্ক-ভিত্তিক জনসন বেবি পাউডার নিরাপদ, এতে অ্যাসবেস্টস নেই এবং ক্যান্সার সৃষ্টি করে না। ”১৮৯৪ সাল থেকে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডার বিক্রি হয়ে চলেছে। কিন্তু আমেরিকার ৩৫ হাজার মহিলা জরায়ুর ক্যানসারের জন্য ওই সংস্থাকে দায়ী করে মামলা দায়ের করার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে ক্রমেই কমে যাচ্ছিল পাউডারটির চাহিদা। আমেরিকার এক আদালত সংস্থাকে ১৫ হাজার কোটি টাকার জরিমানার ‘সাজা’ দিয়েছিল।