ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ২

সীতাকুণ্ড থানার বাড়বকুণ্ড এলাকায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণে দায়ের করা মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭।

শনিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে র‌্যাব-৭ এর সিপিসি-৩, চান্দগাঁও ক্যাম্পে এক ব্রিফিংয়ে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এম এ ইউসুফ এই তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. সাদ্দাম হোসেন ও মো. জাহেদ প্রকাশ মোস্তফা জাহেদ।

র‌্যাব জানায়, সীতাকুণ্ড থানায় হাশেম নগরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন এক গৃহবধূ। তার দুই সন্তান রয়েছে। গৃহবধূর স্বামী একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে। এই কারণে গৃহবধূ তার সন্তানদের নিয়ে তার বাবার বাড়ী সীতাকুণ্ড থানার মুরাদপুরে চলে যায়। গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় সংবাদ পান দুষ্কৃতিকারী তার বাসায় ঢুকে মালামাল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। বাসায় এসে দেখেন দরজা খোলা এবং মালামাল এলোমেলো অবস্থায় আছে। ছিনিয়ে নেওয়া মালামাল আনার জন্য গৃহবধূ, তার ভাগিনা ও ফুফাতো ভাইয়ের ছেলেসহ একই দিন রাত সোয়া ১২ টার দিকে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার ওপর পৌঁছলে দুষ্কৃতিকারীরা গৃহবধূ ও তার ভাগিনা এবং ফুফাতো ভাইয়ের ছেলেকে মারধর করে। পরে তাদের সীতাকুণ্ড থানার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মকবুল রহমান জুট মিল এলাকায় রেললাইনে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঝুপড়ি ঘরে আটকে রেখে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তার ভাগ্নি ও ফুফাতো ভাইয়ের ছেলেকে মারধর করে। পরবর্তীতে ধর্ষণকালীন সময়ের ছবি ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করা হয়। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রাত ২ টায় পালিয়ে যায় তারা। পালিয়ে যাওয়ার আগে আসামিরা তাদের তিনটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে গৃহবধূর বড়ভাই ঘটনাটি জেনে বাদীকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১ জনকে আসামী করে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এম এ ইউসুফ বলেন, সীতাকুণ্ড থানায় গণ ধর্ষণের মামলা দায়েরের ১৩ ঘন্টার মধ্যে মামলার প্রধান আসামী ধর্ষক মো. সাদ্দাম হোসেন ও মামলার তিন নম্বর আসামী মো. জাহেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে সীতাকুণ্ড থানার বাড়বকুণ্ড মিজিপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সাদ্দামের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় মাদক, অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাইসহ ৬ মামলা রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।