সিনাই মরুভূমিতে মিশরীয় সেনার ৩৫০০ বছরের পুরনো ‘রেস্ট হাউস’

মিশরের প্রত্নত্বাত্তিকরা উত্তর সিনাই মরুভূমিতে একটি ‘বিশ্রাম ঘর’ এর ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছেন। থুটমোস থ্রি -এর রাজত্বকালে অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব ১৪৭৯ থেকে ১৪২৫ সাল পর্যন্ত এখানে সাময়িকভাবে প্রাচীন মিশরীয় বাহিনী, সম্ভবত রাজকীয় সেনারা থাকতে পারে।প্রাচীন মিশরীয় শাসকরা প্রায়শই পূর্ব ভূমধ্যসাগরে সামরিক অভিযান চালাতেন এবং সেনারা প্রায়শই এই অঞ্চলে পৌঁছানোর একটি পথ ছিল সিনাই মরুভূমির মধ্য দিয়ে।

মিশরীয় পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘সম্ভবত ভবনটির স্থাপত্য পরিকল্পনা এবং ভিতরে মৃৎপাত্রের ভাঙ্গা অংশ দেখে অনুমেয় যে একসময়ে এখানে গড়ে ওঠা এই ভবনটি একটি রাজকীয় অবকাশ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিল্ডিংটিতে দুটি আয়তাকার হলওয়ে এবং কয়েকটি কক্ষ রয়েছে। বিল্ডিংটিতে পাওয়া একটি হায়ারোগ্লিফিক শিলালিপি নির্দেশ করে যে বিশ্রামাগারটি থুটমোজ থ্রি-এর সময়কালের। রেস্ট হাউসটি তেল হাবওয়া-এ অবস্থিত, এমন একটি স্থান যেখানে ২১তম রাজবংশ (আনুমানিক ১০৭০ থেকে ৯৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) এবং ২৬ তম রাজবংশের (৬৮৮থেকে ৫২৫খ্রিস্টপূর্ব) কবরস্থান পাওয়া গেছে। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসিক ও প্রাচীন ইতিহাসের অধ্যাপক ইমেরিটাস অ্যান্থনি স্প্যালিংগার বলেছেন, এটি একটি আকর্ষণীয় আবিষ্কার, তবে আরও তথ্যের প্রয়োজন।

স্প্যালিংগার নিশ্চিত নন যে, রেস্ট হাউসটি থুটমোস থ্রি-এর রাজত্বকালের কিনা। তিনি উল্লেখ করেছেন, রেস্ট হাউসের চারপাশের স্ট্র্যাটিগ্রাফি এবং একটি কার্টুচ (ফারাওয়ের নাম বহনকারী একটি ডিম্বাকৃতি-আকৃতির শিল্পকর্ম) পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। ভবনটি কখন ব্যবহার করা হয়েছিল তা বোঝার জন্য আরও তথ্যের প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। স্প্যালিংগারের মতে, ফারাও নিজেও হয়তো এই রেস্ট হাউস ব্যবহার করেননি। সেনারা উত্তরে যাওয়ার সময় তাঁবু নিয়ে এসেছিল এবং এখানে বিশ্রাম নিয়েছিল।

সূত্র : লাইভ সায়েন্স