শামসুল হক চৌধুরীর সাথে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউকের মতবিনিময়

চট্টগ্রামে পুরনো কালুরঘাট সেতুর স্থানে নতুন রেল সড়ক সেতুর প্রতি সব সময় সমর্থন থাকবে: শামসুল হক চৌধুরী

চট্টগ্রামের কালুরঘাট নতুন সেতু নির্মাণে এবং জলাবদ্ধতা সমাধানে চট্টগ্রামের সকল এমপিদের ভূমিকা আরো জোরালো হতে হবে: ব্যারিস্টার মনোয়ার গতকাল বাংলাদেশ পার্লামেন্টের হুইপ চট্টগ্রামের পটিয়ার তিন বারের সংসদ সদস্য চট্টগ্রাম আবাহনী ক্রীড়া চক্রের মহাসচিব, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত শামসুল হক চৌধুরী এমপির সাথে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউকের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপলের ১১৩ নিউ রোডস্হ চিটাগং সেন্টারে । এ সভায় সভাপতিত্ব করেন গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউকে’র ট্রাস্টি চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন এসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির সভাপতি ইসহাক চৌধুরী ও সভা পরিচালনা করেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কায়সার। এতে আরো বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের ট্রাস্টি সদস্য মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ সেলিম, কাউন্সিলর সৈয়দ ফিরোজ গণি, সলিসিটার চৌধুরী জিন্নাত আলী ও মনির মাহমুদ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আকতার আলম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক ওসমান ফয়সাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ট্রেজারার মাসুদুর রহমান. পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান, মুহাম্মদ জাকারিয়া মেম্বারশিপ সেক্রেটারি টিঙ্কু চৌধুরী, সাংবাদিক হিফাজুল করিম রাকিব, মুস্তাফা সায়ীদ, জেস চৌধুরী ও মিরা বড়ুয়া প্রমুখ। উপস্থিত সদস্য ও সুধীবৃন্দ শামসুল হক চৌধুরীকে তাঁর এলাকার ও চট্টগ্রামের উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা, নতুন কালুরঘাট সড়ক-রেল নির্মাণ, প্রবাসীদের সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে অনেক প্রশ্ন করেন ।

শামসুল হক চৌধুরী এমপি বলেন, বাংলাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেখানেই কোনো এলাকার সংসদ সদস্য জনস্বার্থে কোনো কাজ করতে চেয়েছেন, প্রজেক্ট দিয়েছেন সেখানেই সহোযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তিনি বলেছেন যারা কাজ করবে তাদের আমি উৎসাহিত করতে চাই । তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় পটিয়ায় কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন মূলক কাজ করে পটিয়ার চেহারা পাল্টে গেছে। তিনি জনগণের সাথে থেকে তাদের সমস্যা নিয়ে কাজ করেন তাই জনগনের থেকে দূরে থাকতে পারেন না হলে পাঁচবার কভিড আক্রান্ত হয়েছেন। ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন কালুরঘাটে নতুন রেল সড়ক সেতুর বাস্তবায়ন বিষয়ে সংসদের হুইপ ও বোয়ালখালীর পার্শ্ববর্তী এলাকা সাংসদ হিসাবে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে পুরনো কালুরঘাট সেতুর স্থানে নতুন রেল সড়ক সেতুর প্রতি তার সব সময় সমর্থন থাকবে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে বেশ আগ্রহী ।তিনি আরো বলেন, বোয়ালখালীর প্রয়াত এমপি মাইনুদ্দিন খান বাদল সাহেবকে নতুন সেতুর দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ শলা-পরামর্শ দিয়েছিলাম কিন্তু তিনি সেভাবে তিনি এগুতে পারেননি। অতীতে জনপ্রতিনিধি আরো সতর্ক হলে সেতুর নির্মাণ আগেই হয়ে যেত ।বর্তমান বোয়ালখালীর এমপি মোসলেম উদ্দীন এ ব্যাপারে আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানান। জনাব শামসুল হক চৌধুরী এমপি প্রবাসীদের সকল সমস্যা সংসদে তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করবেন বলে জানান। তিনি বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেয়া এবং চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা মুক্তি ও চট্টগ্রাম উন্নয়নের জন্য তরুণ বয়স থেকে আজকের সভার সভাপতি ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের অক্লান্ত ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন যেখানেই থাকুন না কেন প্রকৃত দেশপ্রেমীকরা ব্যারিস্টার মনোয়ারের মতো মাতৃভূমির তথা নিজ এলাকার সাথে সম্পৃক্ত থাকেন এবং দেশের রাজনীতি ও দেশ পরিচালনায় তাঁদের মূল্যায়ন করে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে । দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান অপরিসীম।সভায় পটিয়া রাহাত আলী হাই স্কুল সরকারী করণ ও পটিয়া নতুনআদালত ভবনের নির্মাণের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ এগুচ্ছে বলে জানান ।

সভাপতির বক্তব্যে ব্যারিস্টার মনোয়ার চট্টগ্রামের কালুরঘাট নতুন সেতু নির্মাণে এবং জলাবদ্ধতা সমাধানে চট্টগ্রামের সকল এমপিদের ভূমিকা আশা করেন। চট্টগ্রামের পরিকল্পিত উন্নয়নের উপর তিনি গুরুত্ব দেন এবং এতে সমন্বয়ের বিষয়ে এখনো অনেক অভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। জিপিএ এর কার্যকরী সভাপতি ইসহাক চৌধুরী দেশের সব নির্বাচনে প্রবাসীদের যথাযথ মূল্যায়ন করে তাদের মধ্যে যোগ্যদের জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ দিতে আহবান জানান।তিনি বলেন, সিলেটের পরেই সংখ্যার দিক দিয়ে যুক্তরাজ্যে চট্টগ্রামের অবস্থান। সিলেটে এখানকার প্রবাসী কয়েকজন এমপি ও অনেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন, কিন্তু সেই তুলনায় প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীদের কোন অবস্থান নেই, এটা দু:খজনক ।